Winter Season

১০ ডিগ্রি সর্বনিম্ন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বেশি নয়

মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ঘোরাঘুরি করছে দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২০ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৯
Share:

আগুন পোহানো। ডোমকলে। —নিজস্ব চিত্র।

শীতে জবুথবু অবস্থা জেলাবাসীর। বেশ কিছু দিন ধরেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে জানুয়ারি মাস ভর জাঁকিয়ে শীত পড়বে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ঘোরাঘুরি করছে দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২০ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। সন্ধ্যার পর সকাল পর্যন্ত থাকছে কুয়াশার দাপট। তবে গত দু-তিন দিন ধরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে রৌদ্রজ্বল আবহাওয়া থাকলেও বুধবার দুপুরের পর আবহাওয়া ছিল কার্যত মেঘলা। পাশাপাশি উত্তুরে হাওয়ার কারণে শীত অনূভুত হচ্ছে বেশি। মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া দফতরের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ সাগ্নিক দাস বলেন, ‘‘আরও কয়েক দিন জাঁকিয়ে শীত পড়বে।’’

জাঁকিয়ে শীত পড়তেই বাড়ছে জ্বর, সর্দিকাশির মতো সমস্যা। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে রোগীদের ভিড় বাড়ছে জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ নিয়ে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ মেহবুব আলম বলেন, ‘‘শিশুদের অধিকাংশ জ্বর, সর্দিকাশি, পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছে। এই সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি করে যত্নশীল হতে হবে।” হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক তথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুহাম্মদ সাফি বলেন, ‘‘হাসপাতালে বহির্বিভাগ, অন্ত:বিভাগে ভিড় বাড়ছে। অধিকাংশ রোগী জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের অধিকাংশই ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত।” একই কথা বলছেন নওদার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক তথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সফিকুল হাসান।

Advertisement

শীত, কুয়াশার প্রভাব পড়ছে কৃষিকাজেও। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, কুয়াশার কারণে সর্ষে, আলু, মুসুর সহ বিভিন্ন রবি ফসলে বিভিন্ন ধরনের রোগ পোকার আক্রমণ বাড়ে। সারগাছি ধান্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যানপালন দফতরের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ চন্দা সাহা পারিয়া বলেন, ‘‘এই ধরনের আবহাওয়ায় কিছু ফসলে রোগ পোকার আক্রমণ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সুপারিশ মতো কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করতে হবে।’’
অন্যদিকে এই শীতে পিকনিক বা বনভোজনেও ব্যস্ত থাকছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন