শহরে বিনোদনের জায়গা বলতে জলঙ্গি নদীর পাড়ের ফাঁকা জায়গা কিংবা খেলার মাঠ। আর হালে হয়েছে একটি শপিং মল। সেটাও আবার শহরের বাইরে। খুদেদের জন্য দু’একটি পার্ক থাকলেও শহরে তেমন ভাল বিনোদন পার্ক নেই। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি, কৃষ্ণনগর শহরে একটি বিনোদন পার্ক গড়া হোক। কিন্তু পর্যাপ্ত জমি না থাকায় তা করে উঠতে পারেনি পুরসভা।
এ বারে জলঙ্গি নদীর ধারে বিনোদন পার্ক গড়ার জন্য রাজ্যের সেচ দফতরের কাছে জমি চাইল কৃষ্ণনগর পুরসভা। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের কাছে ইতিমধ্যে জমি চেয়ে তারা চিঠিও দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক তথা কারা দফতরের মন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদারকে চিঠি দিয়ে সেচ দফতরের ওই জমির ব্যবস্থা করারও আবেদন জানিয়েছে পুরসভা।
কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান অসীমকুমার সাহা বলছেন, “মানস ভুঁইয়া রাজ্যের সেচ দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন ওই জমি চাওয়া হয়েছিল। তিনি আমাদের জমি দিতে রাজীও হয়েছিলেন। কিন্ত তার পরে জমি পাইনি। বর্তমান সেচ দফতরের মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে জমি চেয়ে চিঠি দিয়েছি।” পুরপ্রধানের দাবি, জমি পেলেই পার্ক তৈরি করা হবে।
কৃষ্ণনগর শহরের জলঙ্গি নদীর বিসর্জন ঘাটের কাছে সেচ দফতরের জমি রয়েছে। সেই জমি থেকে দেড় একর জমি পুরসভা বিনোদন পার্ক গড়ার জন্য চেয়েছে। কয়েক দিন আগে রাজ্যের সেচ দফতরের মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় নাকাশিপাড়ার গাছাতে একটি সেতুর শিলান্যাস করতে এসেছিলেন। সেখানে কারামন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদারও ছিলেন। তিনিই রাজীববাবুর হাতে চিঠি দেন।
পরে অবনীবাবু সভামঞ্চেই বলেন, “কৃষ্ণনগর পুরসভা বিনোদন পার্ক গড়তে চায়। কিন্তু পর্যাপ্ত জমি না থাকায় সেই পার্ক হচ্ছে না। রাজীববাবু আমাকে কথা দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের জলঙ্গির ধারে পার্ক করার জন্য জমি দেবেন।” সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ও বলেন, “কৃষ্ণনগর পুরসভাকে পার্ক গড়ার জন্য জমি দেওয়া হবে। পুরসভা যাতে দ্রুত সেই জমি পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘শহরে এমন পার্ক তৈরি হলে খুদেরা যেমন খুশি হবে, তেমনি লাভবান হবে প্রবীণ নাগরিকেরাও। কারণ, রাস্তার যা চেহারা তাতে নিশ্চিন্তে হাঁটার উপায় নেই। নদীর ধারে একটি পার্ক হলে সেখানে একটু স্বস্তিতে শ্বাস নেওয়া যাবে।’’