জল ঢুকেছে ঘরে, কোল দিয়েছে পথ

বুধবার সুতি-১ ব্লকের হারোয়া, বহুতালি, আহিরণ ও বংশবাটির কমপক্ষে ৪০টি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের হিসেব, প্রায় ৮ হাজার মানুষ জলবন্দি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৮
Share:

আশ্রয় জাতীয় সড়কের পাশে। আহিরণে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

বৃষ্টি বন্ধ হলেও বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জল বিভিন্ন নদী দিয়ে নেমে আসছে মুর্শিদাবাদের দিকে। যার ফলে মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ও ব্রহ্মাণী নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কান্দির রণগ্রামে দ্বারকা নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি। জলঙ্গিতে পদ্মার জল বেড়ে বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ভাগীরথীর জলও মঙ্গলবারের থেকে বুধবার কিছুটা বাড়লেও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তবে সেচ দফতরের কর্তারা জানান, বিহার ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি না হওয়ায় নতুন করে এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলছেন, ‘‘নতুন করে এলাকা প্লাবিত হয়নি। এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। দু’একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’

Advertisement

বুধবার সুতি-১ ব্লকের হারোয়া, বহুতালি, আহিরণ ও বংশবাটির কমপক্ষে ৪০টি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের হিসেব, প্রায় ৮ হাজার মানুষ জলবন্দি। কিন্তু হারোয়ার প্রধান নিবেদিতা ঘোষ জানান, হারোয়ার ১৪টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ জলবন্দি। চারটি ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন কয়েকশো মানুষ। জলের তলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। ওই সমস্ত গ্রামে এখনও ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। সোনাতলার পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ ইয়াদুল শেখের অভিযোগ, “সাত দিন থেকে জলবন্দি হয়ে রয়েছে গ্রামগুলি। কিন্তু প্রশাসনের লোকজনের দেখা মেলেনি। সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়নি। একই অবস্থা আহিরণের।’’

আহিরণ গিরিয়াপাড়া ও মাঠপাড়া কলোনির সব বাড়ি জলের তলায়। বুধবার সকাল থেকে ওই সমস্ত পরিবার উঠে এসেছেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। দুর্ঘটনা এড়াতে সুতি থানার পুলিশ জাতীয় সড়কের এক দিকে যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন। হোসেনপুর, কুলিদিয়ারের পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বেলডাঙার সাটুই ও কুমারপুরঘাটে নৌকা পারাপারে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। এ দিনও ভগবানগোলা-২ ব্লকের নির্মলচরের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মাণী নদীর বাঁধ ভেঙে বীরভূম ঘেঁষা নবগ্রামের ডাঙাপাড়া ও কুতুবপুর থেকে জল নামতে শুরু করেছে।

Advertisement

খড়গ্রামের যাদবপুরে ব্রহ্মাণী নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। বিডিও সৌরভ ধল্ল বলেন, “জল নেমে গেলেই বাঁধ মেরামতির কাজ করা হবে।” তবে এ দিন জলঙ্গিতে পদ্মার জল বেড়েছে। এ দিনও জলঙ্গির সাগরপাড়ার সীতানগর গ্রামের প্রায় ৮০টি পরিবার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে রানিনগর-২ ব্লকের বেশ কয়েকটি এলাকা। কিছু পরিবার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন