নামি অনলাইন শপিং সংস্থা। সংবাদপত্র-টিভির বিজ্ঞাপনে বাক্স খুললেই ‘নতুন জীবন’ ডেলিভারি করার প্রতিশ্রুতি। তেমনই বিজ্ঞাপন দেখে বাহারি শাড়ি অর্ডার করেছিলেন রানাঘাট দ্বারিকানগরের যুবক প্রসেনজিৎ দাস। কিন্তু বাক্স বন্দি হয়ে বাড়িতে যা পৌঁছল, তাতে খুশি উধাও হয়ে যায় প্রসেনজিতের।
শুক্রবার সকালে অনলাইনে একটি শাড়ি বুক করেছিলেন প্রসেনজিৎ। বলা হয়েছিল রবিবারের মধ্যে তিনি হাতে পেয়ে যাবেন। রবিবার দুপুরে হাজির হন ডেলিভারিম্যান কৃশাণু সরকার। প্রসেনজিৎ বাক্স খুলতে শুরু করলে কৃষাণু বলেন, সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী টাকা না মিটিয়ে বাক্স খুলতে পারবেন না। শুরু হয় তর্কাতর্কি।
এরই মধ্যে এক রকম জোর করেই বাক্স খুলে চোখ চড়কগাছ প্রসেনজিতের। শাড়ি কোথায়! বাক্সের মধ্যে ঠাসা নোংরা প্লাস্টিক।
তত ক্ষণে প্রসেনজিতের বাড়িতে ভিড় জমান পড়শিরা। আটকে রাখা হয় কৃশাণুকে। তিনি বার বার জানান, সংস্থা থেকে যে বাক্স পাঠানো হয়েছে, সেটাই তিনি ডেলিভারি করেছেন। এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উদ্ধার করে কৃশাণুকে।