Players

প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়েরা

খেলোয়াড়দের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করে অন্যান্য জেলায় অনেক আগেই নিয়োগ করা হয়ে গেলেও নদিয়া জেলায় তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে ক্রীড়া উৎসবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সদের সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রায় দু’বছর পার হয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন জেলার বেশ কিছু দুঃস্থ খেলোয়াড়।

Advertisement

খেলোয়াড়দের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করে অন্যান্য জেলায় অনেক আগেই নিয়োগ করা হয়ে গেলেও নদিয়া জেলায় তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। প্রয়োজনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও এ দিন কার্যত হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। খেলোয়াড়রা জানান, কিছু দিনের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসবেন।

২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নদিয়া জেলায় ‘জলতরঙ্গ ক্রীড়া উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রতিটি থানা এলাকায় মহিলা ও পুরুষ বিভাগে ফুটবল, ভলিবল, খোখো, কবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। থানা এলাকায় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে জেলা স্তরে টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল জেলা পুলিশ। ওই বছরই কৃষ্ণনগরে সভামঞ্চে প্রতিটা ক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের সদস্যদের পুরষ্কৃত করার পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই দাবি করে বৃহস্পতিবার সেই সব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের সদস্যরা জেলাশাসকের দফতরের সামনে জমায়েত করেন। তাঁরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপিও জমা দেন। সেই সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন জেলার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও।

Advertisement

এঁদেরই মধ্যে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরির বাসিন্দা চ্যাম্পিয়ন কবাডি টিমের সদস্য বিপাশা দাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মাইকে আমাদের সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে গেলেন। সেই মতো আমাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র জমাও নেওয়া হল। কিন্তু আজও চাকরি পেলাম না। গোটা ঘটনায় আমরা চূড়ান্ত ভাবে হতাশ।”

চাপড়ার বাসিন্দা ফুটবল রানার্স দলের সদস্য সুদীপ মণ্ডল বলেন, “আমরা জেলাশাসক থেকে শুরু করে নবান্নে গিয়েও লিখিত আবেদন জমা করে এসেছি। কিন্তু কেন জানি না, কোনও কাজ হয়নি। এবার আমরা বাধ্য হব জেলাশাসকের দফতরের সামনে আমরণ অনশনে বসতে।”

জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “ওঁদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। বিষয়টা শুনলাম। এবার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন