মমতাকে নিয়েই কবিতা

নেতানেত্রীদের আবদার তিনি কখনও শুনলেন, কখনও পাত্তা দিলেন না। কখনও মৃদু বকুনিও হল। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁয়ের আবদার, বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেলে উন্নীত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী রাজি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

মগ্ন: মঞ্চেই চোখ রাখলেন দরকারি কাগজে। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

নেতানেত্রীদের আবদার তিনি কখনও শুনলেন, কখনও পাত্তা দিলেন না। কখনও মৃদু বকুনিও হল।

Advertisement

নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁয়ের আবদার, বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেলে উন্নীত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী রাজি। কিন্তু চাপড়ার রুকবানুর রহমান চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালকে ৩০ থেকে ৫০ বেড করার অনুরোধ করলে মমতা বলেন, ‘‘এখন ডাক্তার নেই। ডাক্তার বাড়লে দেখা যাবে।’’

নবদ্বীপের পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। তার আগেই মমতা বলেন, “তোমার শহর হেরিটেজ হচ্ছে। তোমায় কিছু বলতে হবে না। শরীরের দিকে নজর দাও।” রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ টাকা চান। মুখ্যমন্ত্রী থামিয়ে বলেন, “গাড়িও দেব, আবার টাকাও দেব! তুই ঘুমো। কোন কাজ করতে হবে না তোকে।”

Advertisement

পলাশিপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহাকে বলেন, “গৌরীদা (দত্ত) অসুস্থ। ওঁর এলাকাটাও দেখতে হবে তোকে।” তাঁর আব্দার মেনে একটা কমিউনিটি হলের জন্য একটি সাংসদ কোটা থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

হরিণঘাটার বিধায়ক নীলিমা নাগ কিছু বলার আগেই মমতা বলেন, “তুমি খুব ঝগড়া করতে পারো। কার সঙ্গে যেন ঝগড়া করো? সমীর-দীপক?” কিন্তু নীলিমা হরিণঘাটা ও মহাদেবপুরে বাসস্ট্যান্ডের কথা বললে তিনি রাজি হয়ে যান। করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র তাঁর এলাকায় আর্সেনিক প্রভাবের কথা বলেন। মাওবাদীদের হাতে নিহত করিমপুরের জওয়ানের বাবা-মা চাইছেন না, তাঁদের বড় ছেলে পুলিশে চাকরি করুক। মুখ্যমন্ত্রী জওয়ানের দাদাকে পঞ্চায়েত দফতরে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

কল্যাণীর রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কোনও দাবি-দাওয়া ছিল না। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা কবিতা পড়তে থাকেন। মমতা হেসে ফেলে বলেন, “রমেনদাকে কবিতা উৎসবে ডাকবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement