মা: জঙ্গিপুর আদালতে মোসলেমা। নিজস্ব চিত্র
স্বামীকে খুন করে দেহে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত মোসলেমা বিবিকে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিল সাগরদিঘি থানার পুলিশ। প্রমাণ লোপাট করতে সে নিজেই আগুন লাগিয়েছিল নাকি কেউ তাকে পরামর্শ দিয়েছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পুলিশ তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে।
শুক্রবার বছর দেড়েকের শিশু কোলেই জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হয় মোসলেমাকে। পুলিশের দাবি, জেরায় সে স্বামী লখু শেখকে মেরে গোটা দিন বন্ধ করে দেহ রেখে পরে আগুন লাগানোর কথা কবুল করেছে। তার দাবি, গত তিন বছর ধরে মদ্যপ লখুর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সে। ইদানীং পাশের সন্তোষপুরে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় লখুর। মাঝেমধ্যেই গলার কাছে বঁটি ধরে সে মোসলেমাকে শাসাত, ‘তোকে শেষ করে দিয়ে ওকেই ঘরে নিয়ে আসব।’
মোসলেমার দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে ঝগড়ার সময়েও লখু তাকে বঁটি নিয়ে কাটতে এসেছিল। তখনই ঘরের মধ্যে পড়ে থাকা একটি ইট তুলে লখুর মাথায় মারে সে। এক বার বসে পড়েও লখু ফের ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু সে উঠতে পারলে তাকে ভয়ঙ্কর মারবে, এমনকী খুনও করে ফেলতে পারে এই ভয়ে মোসলেমা ইট দিয়েই তার মাথায় এলোপাথাড়ি মারে। মরে যায় লখু। এর পরে সে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিল, কিন্তু দুই শিশুর কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেনি।