সরল বেড়া, খুলল স্কুল

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেড়া সরল স্কুলের যাতায়াতের পথে। সোমবার পুলিশ গিয়ে ওই বেড়া সরিয়ে নিতে বললে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। স্কুলে ঢোকেন ৬৩ নম্বর পাঁচগাছি শিবনগর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৯
Share:

এই বেড়াই সরিয়ে খুলল স্কুল। নিজস্ব চিত্র

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেড়া সরল স্কুলের যাতায়াতের পথে। সোমবার পুলিশ গিয়ে ওই বেড়া সরিয়ে নিতে বললে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। স্কুলে ঢোকেন ৬৩ নম্বর পাঁচগাছি শিবনগর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারা।

Advertisement

হরিহরপাড়া ব্লকের যুগ্ম বিডিও উদয়কুমার পালিত বলেন, ‘‘পুলিশ ওই বেড়া সরিয়ে দিয়েছে। সোমবার সব পক্ষকে নিয়ে মিটিং হয়েছে। মঙ্গলবার স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। স্কুল থাকলেও যাতায়াতের জন্য নিজস্ব জমি নেই। এত দিন ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে চলত যাতায়াত। সম্প্রতি নিজের জমিতে বেড়া তুলেছেন জমির মালিক। ফলে স্কুলে যেতে পারছে না পড়ুয়ারা। বিপাকে পড়েছেন স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Advertisement

গত শুক্রবার এই কারণে বন্ধ ছিল স্কুল। শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা এসেও স্কুলে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান। বিষয়টি জানানো হয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের। সোমবার পুলিশ এসে বেড়া সরিয়ে দিতে বললে বেড়া সরিয়ে নেওয়া হয়। স্কুলে ঢোকে পড়ুয়ারা।

হরিহরপাড়ার পাঁচগাছি শিবনগর প্রাথমিক স্কুলটি তৈরির জন্য ১৯৭৯ সালে ২৬ শতক জমি দান করেন গ্রামের জনা কয়েক ব্যক্তি। সেই প্রাথমিক স্কুলের পাশের জমিতে ২০১১ সালে তৈরি হয় পাঁচগাছি শিবনগর জুনিয়র হাইস্কুল। কিন্তু স্কুলের যাওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। স্থানীয় চাষি রামকৃষ্ণ মণ্ডলের জমির উপর দিয়ে যাওয়া আসা করত পড়ুয়ারা। মাস খানেক আগে রামকৃষ্ণ স্কুলকে জানান, জমিতে গাছ লাগানো হয়েছে। তাই তিনি জমিতে বেড়া দেবেন। বেড়াও দেন। এই অবস্থায় পাশের জমির মালিক মন্টু বিশ্বাসের জমির উপর দিয়ে যাওয়া আসা চলছিল। আচমকা শুক্রবার মন্টু তাঁর জমিতে বেড়া দেন। ফলে রুদ্ধ হয়ে যায় স্কুলে ঢোকার সব পথ। পডুয়ারা ও শিক্ষকেরা কিছুক্ষণ বসে থেকে বাড়ি ফিরে যান। শুক্রবারই শিক্ষকেরা ব্লক প্রশাসনকে ঘটনাটি জানান। পরে ব্লক প্রশাসনের পক্ষে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানায় ব্লক প্রশাসন।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে পথ দিয়ে স্কুলে যেতাম সেই পথ মাস খানেক আগে বন্ধ হয়েছে। পরের পথও বন্ধ হয়ে যায় শুক্রবার। ফলে স্কুলে ঢোকা যায়নি। বন্ধ ছিল পঠন পাঠন।’’

জমির মালিক রামকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘‘জমিতে গাছ লাগানো হয়েছে। তাই জমি ঘিরেছি। পরিবারের কাউকে চাকরি দিলে তবেই জমি ছাড়ব। না হলে রাস্তা বন্ধ থাকবে।’’

অন্য জমির মালিক মন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘রামকৃষ্ণবাবু জমি ছাড়লে ‘আমিও জমি ছাড়ব।’’ তবে দু’জনেই জমি ছাড়তে রাজি হয়েছেন বলে দাবি প্রশাসনের। এখন মঙ্গলবারের কী ফয়সালা হয় সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন