প্রস্তুতি: জর্জকোর্ট মোড়ে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র
পুরসভা, পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ দখলের পরে কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদে, সামাজিক উৎসবেও এ বার তাদের দাপট দেখাতে নামল তৃণমূল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর পুরনো ক্লাবের পুজোর গা ঘেঁষেই এ বার তাই কালীপুজোর আয়োজন করেছেন তৃণমূল সমর্থকেরা।
অধীরের দাবি, গায়ে গা ঘেঁষা ওই মণ্ডপ গড়া হলেও পুলিশ এবং প্রশান চোখ বুজে থেকে তাকে প্রচ্ছন্ন সমর্থনই করছে।
যুব তৃণমূলের সমর্থকদের আয়োজিত ওই পুজো নিয়ে পুলিশ এবং প্রশাসন অবশ্য তেমন কোনও ‘আইন বিরুদ্ধ’ কিছু দেখছে না। আর, মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বেনজির কামাল যিনি একাধারে ওই নব্য পুজো কমিটির সবাপতি, খুব ঠান্ডা গলায় বলছেন, ‘‘কালীপুজো উপলক্ষে আমরা দেড় হাজার মানুষকে বস্ত্রদান করব। তাতে কে কি অভিযোগ করল কী আসে যায় তাতে!’’
বহরমপুর জজকোর্টের পিছনে, রাজীব গাঁধী শিশু উদ্যানে এ বার প্রথমবার যুব তৃণমূল নেতার উদ্যোগে ডায়মন্ডহারবারে একটি সংস্থা পুজোর অন্যতম আয়োজক। সেই মণ্ডপ থেকে কয়েকশো গজ দূরে জজকোর্টের সামনের মোড়ে প্রায় চার দশক ধরে অধীরের পুরনো ক্লাব স্যান্টাফোকিয়া’র পুজো। প্রধান পৃষ্টপোষক অধীর চৌধুরী। এ ব্যাপারে জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার, মহকুমাশাসক থেকে পুরপ্রধানকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। তবে তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি বলে স্যান্টাফোকিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যুব তৃমমূল নেতা সৌমিক হোসেন কোনও কথা বলতে চাননি। অধীর অবশ্য বলেন, ‘‘যে কোনও ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়াই এখন তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতাদের অভিপ্রায়।’’
বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, ‘‘প্রশাসন পুজোর অনুমতি দিলে পুরসভার কোনও আপত্তি নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছি। ফলে আমরা কি করব!’’
বহরমপুর থানার আইসি শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস অবশ্য আস্বাস দিয়েছেন, ‘‘কালীপুজোর অনুষ্ঠান যাতে সুষ্ঠ ভাবে হয় সে জন্য বুধবার বিকেলে দু’টো পুজোর উদ্বোধনের সময় আলাদা করতে বলা হয়েছে।’’