Poor Condition of Road

মাটি সরে ঝুঁকি বেড়েছে পথে, নড়ে না পঞ্চায়েত

বারোমাসিয়ার বাসিন্দাদের দাবি, মাসকয়েক আগেও রাস্তা ভালই ছিল। কিন্তু এবার অতিবর্ষণে পুকুরপাড়ের রাস্তাটি একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করে। বৃষ্টির জল গড়িয়ে রাস্তার তলার মাটি সরে গিয়েছে পুকুরে। তাতেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ওই রাস্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগরপাড়া  শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০১:১০
Share:

নিজস্ব চিত্র।

ওপর থেকে এক ঝলক দেখে বোঝার উপায় নেই। ঢালাই করা মজবুত রাস্তা। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেই ঢালাই রাস্তার তলা থেকে সরে গিয়েছে মাটি। খয়রামারি থেকে নরসিংহপুর যাওয়ার পথে বারোমাসিয়া গ্রামের রাস্তার অবস্থা এমন মাসকয়েক ধরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় ভারী যান পড়ে যেতে পারে পাশের পুকুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা বিষয়টি পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনকে জানিয়েছেন। তবে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, ওই জায়গাটি সংস্কার করতে অর্থবরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। রাস্তার পাশের পুকুরে জল থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। জল কমলে কাজ শুরু হবে।

Advertisement

বারোমাসিয়ার বাসিন্দাদের দাবি, মাসকয়েক আগেও রাস্তা ভালই ছিল। কিন্তু এবার অতিবর্ষণে পুকুরপাড়ের রাস্তাটি একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করে। বৃষ্টির জল গড়িয়ে রাস্তার তলার মাটি সরে গিয়েছে পুকুরে। তাতেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ওই রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল মণ্ডল বলেন, ‘‘অবস্থা এমনই এখন ওই রাস্তা দিয়ে কোনও ভারী যান গেলে আতঙ্ক হচ্ছে আমাদের। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পঞ্চায়েত নাকি বলেছে, পুকুরের জল কমলে কাজ শুরু হবে। কিন্তু সে তো ঢের দেরি। আমাদের দাবি, দ্রুত রাস্তা সারানো হোক।’’

ওই এলাকার বারোমাসিয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা নরসিংহপুর বাজারে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন ওই পথ। প্রতিদিন কয়েকশো পথচারী যাতায়াত করেন ওই রাস্তা দিয়ে। প্রায়ই ভারী যান যাতায়াত করে ওই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু এখন সেগুলি ঘুরপথে যাতায়াত করছে।’’ সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমজাদ আলি খান বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। মেরামতের জন্য জিনিসপত্র আনা শুরু হয়েছে। পুকুরে জল বেশি থাকার জন্যই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। জলটা একটু কমলে কাজ শুরু হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন