Fire Broke out

আগুনে ছাই প্লাস্টিক কারখানা

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাদী নগর এলাকায় একটি প্লাস্টিকের সামগ্রী নির্মাণের কারখানা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৬
Share:

প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিভাচ্ছেন দমককর্মীরা, নদিয়ার শান্তিপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ।

বাড়িতে বিয়ে। মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মানুষটি। এর মাঢেই ভোর রাতে খবর এল, কারখানায় আগুন লেগেছে। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে প্রচুর সামগ্রী। কার্যত উৎসবের পরিবেশ নিমেষে স্তব্ধ হল দুর্ঘটনার আকস্মিকতায়। বিয়েবাড়ির আনন্দ-কোলাহল ভুলে ছুটলেন কারখানায়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই প্লাস্টিকের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। যার জেরে ভস্মীভূত হয়ে গেল কারখানার বড় অংশ। ভোরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই।

Advertisement

কারখানার মালিক গিরীশ রায় শান্তিপুর শহরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর মেয়ের বিয়ে। তার আগে এ দিন ভোরে তিনি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। সব ফেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি এ দিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘কারখানার প্রচুর জিনিস পুড়ে গিয়েছে। কতটা কী ক্ষতি হল, এখনও হিসাব করে উঠতে পারিনি। কী ভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না।’’

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাদী নগর এলাকায় একটি প্লাস্টিকের সামগ্রী নির্মাণের কারখানা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতেও অন্য দিনের মতোই কাজ হয়েছে সেখানে। রাতে কারখানা বন্ধ করে চলে যান সকলে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এলাকার বাসিন্দা ওই কারখানা থেকে ধোঁয়া এবং আগুন বের হতে দেখেন। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে কারখানার বিভিন্ন জায়গায়। এমনকি, আশপাশের কয়েকটি গাছ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

Advertisement

ওই আগুন দেখতে পেয়ে আশপাশের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। প্রাথমিক ভাবে তাঁরাই জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। শান্তিপুরের অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন যায় ঘটনাস্থলে। কৃষ্ণনগর থেকে আনা হয় দমকলের আরও একটি ইঞ্জিন। প্রায় তিন ঘণ্টায় চেষ্টায় তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে আগুন আয়ত্তে আনেন দমকল কর্মীরা। তবে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কারখানার বেশির ভাগ অংশই। সেখানে মজুত করা সামগ্রীও পুড়ে যায়।

ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে বেশ কিছু কাঁচামালও মজুত ছিল। প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব জানাতে পারেননি তাঁরা। তবে আনুমানিক এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন