মাঠে-মাঠে শুরু হচ্ছে নতুন মরসুম

বারপুজো শেষ হতেই ফুটবলে পা পড়ল ওদের

রাতারাতি যেন বদলে গিয়েছে মাঠটা। সকাল থেকেই উন্মাদনা তুঙ্গে। চলছে সাফাই। পুজোর বন্দোবস্ত। আরও নানা টুকিটাকি আয়োজন। এই তো একটাই বচ্ছরকার দিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৫৮
Share:

পয়লা-পুজো। লিগ হোক না হোক, আজ বারপুজো। ইসলামপুরে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

রাতারাতি যেন বদলে গিয়েছে মাঠটা। সকাল থেকেই উন্মাদনা তুঙ্গে। চলছে সাফাই। পুজোর বন্দোবস্ত। আরও নানা টুকিটাকি আয়োজন।

Advertisement

এই তো একটাই বচ্ছরকার দিন।

ফুলে-মালায় সাজানো হয়েছে গোলপোস্ট। গোলকিপার দাঁড়ানোর জায়গায় যত্নে আঁকা আলপনা। বারপোস্টের এক দিকে ফুলমালা, ধুপ, মিষ্টিতে সাজানো নৈবেদ্য। মাঠের চার কোণে কর্নার ফ্ল্যাগের বদলে বসানো মঙ্গলঘট।

Advertisement

নববর্ষের সকালেই ক্লাবের জার্সি পড়ে হাজির খেলোয়াড়ের দল। ম্যাচ নেই, তবু শশব্যস্ত কর্তারা। ঘনঘন নজর ঘড়ির দিকে। একটু পরেই মাঠে শালগ্রাম শিলা হাতে এসে হাজির। বারপুজো শুরু।

সব জায়গায় একই রকম উৎসাহে ফুটবল খেলা হয়, তা নয়। কিন্তু যেখানেই খেলা হয়, মাঠে-মাঠে এই একই ছবি। গত বছর থেকেই মহকুমা ফুটবল লিগ বন্ধ ডোমকলে। তা বলে বারপুজো বন্ধ নেই। ঘটা করেই পুজো হয়েছে ইসলামপুরের চক মহমায়া ক্লাবে। এলাকার শতাধিক খেলোয়াড় ছাড়াও প্রাক্তনীরা ছিলেন মাঠে। পুজো শেযে নতুন জার্সি পরে বলে ধাঁই-ধাঁই কিক। আর মিষ্টিমুখ।

নববর্ষের সকালে ফুটবল মাঠে এই বারপুজো কে কবে শুরু করেছিলেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। কিন্তু তাতে কী! বাংলা জুড়ে ফুটবল মরসুমের সূচনা হয় এই পুজো দিয়ে। বারপুজো করেই নবদ্বীপ অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে শুরু হল নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির ফুটবল কোচিং ক্যাম্প। পরিচালনায় থাকছেন অতীত দিনের দুই দিকপাল খেলোয়াড় নির্মল ভৌমিক এবং অরুণ রায়।

মনোজ চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে উদয়নের মাঠেও শুরু হয় ক্লাবের নিজস্ব ফুটবল শিবির। নবদ্বীপ আজাদ হিন্দ ক্লাবের মাঠে সুব্রত দত্ত ও নির্মল ভৌমিকের প্রশিক্ষণে নতুন মরসুমের আনুষ্ঠানিক সূচনাও হল বারপুজো করেই।

বছর নয়েক আগে ডোমকলে লিগ শুরু হওয়া ইস্তক একটা অন্য ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় আড়াআড়ি বিভক্ত তল্লাট জুড়ে গিয়েছে ফুটবল ঘিরেই। নতুন মুখের জোগান বাড়াতে অনূর্ধ্ব ১৬ ও ১৪ বছরের দলও গড়েছে বহু ক্লাব।

ডোমকল সেবা সঙ্ঘের কর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘লিগ বন্ধ হওয়ায় আমরা হতাশ।’’ তবে হতাশ হতে রাজি নন চক মহমায়া ক্লাবের কর্তা নবীন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘লিগ হোক বা না হোক, খেলোয়াড়েরা খেলবেই।’’ ডোমকল মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ধীমান দাস বলেন, ‘‘আজ বারপুজো নিয়ে যে আবেগ দেখলাম, লিগ চালু করার জন্য সব রকম চেষ্টা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন