অলিতে-গলিতে যুদ্ধ সৈয়দাবাদে

উত্তর সৈয়দাবাদ পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা অবশ্য থিমে বিশ্বাসী নন। তবে ৭৫ বছর পূর্তিতে এ বারই তাঁরা প্রথম থিমের পরিকল্পনা করেছেন। প্রতিমা নির্মিত হয়েছে পুরুলিয়ার ছৌ-নৃত্যরত আঙ্গিকে। মণ্ডপের ভেতরেও থাকছে ছৌ-নৃত্যশিল্পীদের মুখোশ। 

Advertisement

ইন্দ্রাশিস বাগচী

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪৭
Share:

সেজে উঠছে সৈয়দাবাদ পুজো কমিটির প্যান্ডেল। নিজস্ব চিত্র

পুজোর থিম নিয়ে বহরমপুরের বিভিন্ন পুজোকর্তাদের মধ্যে লড়াই ফি-বছরের। এ বছর যেমন থিমকে ঘিরে বহরমপুরের সৈয়দাবাদ এলাকার দুই পুজো কমিটির মধ্যে চলছে টক্কর।

Advertisement

এক দিকে রয়েছে সৈয়দাবাদ নবরূপ সঙ্ঘ পুজো কমিটি এবং তার বিপরীতে রয়েছে উত্তর সৈয়দাবাদ পুজো কমিটি। নবরূপ সঙ্ঘের ৩৪ তম বর্ষের পুজোর থিম পরিবেশ বান্ধব। পাট ও পাটকাঠি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন, ‘‘প্লাস্টিক বর্জন করে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারে জোর দেওয়ার বার্তা দেওয়ার উদ্দেশে ওই থিমের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নবরূপ সঙ্ঘের এ বারের পুজোর বাজেট প্রায় ৯ লক্ষ টাকা।

উত্তর সৈয়দাবাদ পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা অবশ্য থিমে বিশ্বাসী নন। তবে ৭৫ বছর পূর্তিতে এ বারই তাঁরা প্রথম থিমের পরিকল্পনা করেছেন। প্রতিমা নির্মিত হয়েছে পুরুলিয়ার ছৌ-নৃত্যরত আঙ্গিকে। মণ্ডপের ভেতরেও থাকছে ছৌ-নৃত্যশিল্পীদের মুখোশ।

Advertisement

কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত চৌধুরী বলছেন, ‘‘বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা এবং আমাদের যা থিম তাতে সেরা হওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।’’ তবে তাদের এই আত্মবিশ্বাসকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সৈদাবাদ নবরূপ সঙ্ঘের পুজো উদ্যোক্তারা।

জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে সৈদাবাদের নবরূপ সংঘের পুজোর। —নিজস্ব চিত্র

কমিটির সম্পাদক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘প্রতি বছর আমরা সেরা হই। এর আগেও অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি। উওর সৈয়দাবাদ তো এ বার পুজোয় প্রথম থিম করে আমাদের হারিয়ে সেরা হওয়ার দিবাস্বপ্ন না দেখলেই ভাল করবে। আমাদের জায়গায় পৌঁছতে অনেক দেরি আছে ওদের!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন