রানাঘাট রেল স্টেশনে চলছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ। রবিবার সন্ধ্যায়। ছবি: সুদেব দাস।
দেশ জুড়ে রেল পরিকাঠামোর বদলের লক্ষ্যে ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পে জোর দিয়েছে কেন্দ্রের রেল মন্ত্রক। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই রাজ্যের ১০১টি রেল স্টেশনকে আধুনিকীকরণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনেও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে উন্নয়ন ও যাত্রী সুবিধা বৃদ্ধির যাবতীয় কাজ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার রানাঘাট, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, শান্তিপুর, কল্যাণী, কল্যাণী ঘোষপাড়া, বেথুয়াডহরি, গেদে-সহ একাধিক স্টেশন ইতিমধ্যেই অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর সিটি জংশনের ক্ষেত্রে মাস্টার প্ল্যান তৈরি ও দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, সারা দেশে মোট ৫৩৮টি স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্য রেলের। এই প্রকল্পে মার্বেলে মোড়া প্ল্যাটফর্ম, শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত প্রতীক্ষালয়, সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ বিপণি, আধুনিক ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এবং চলমান সিঁড়ির মতো একাধিক সুবিধা যোগ করা হবে।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট রেল স্টেশনকে একটি আধুনিক মডেল স্টেশনে রূপ দিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে শান্তিপুর স্টেশনকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। শুধু আধুনিক পরিকাঠামোই নয়, শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পকে সামনে রেখে স্টেশন চত্বরের নকশা ও সাজসজ্জায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কাজ চলছে কল্যাণী স্টেশনেও। যদিও নিত্যযাত্রীদের দাবি, কল্যাণীতে সবার আগে প্রয়োজন চলমান সিঁড়ি।
রেল কর্তারা জানাচ্ছেন, আধুনিকীকরণের ফলে এক দিকে যেমন যাত্রীদের যাতায়াত আরও সহজ হবে, তেমনই জেলার স্টেশনগুলি নতুন রূপে জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে