বৃষ্টিভাসি: কোথাও মুষলধারে কোথাও ঝিরিঝিরি— ভিজল গ্রাম, শহর। সোমবার বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
ক্যালেন্ডার জানান দিচ্ছে, আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই! চড়া রোদ আর দমবন্ধ করা গুমোটে ঘরে-বাইরে গলদঘর্ম অবস্থা। চাতকের মতো সকলেই বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় দেখা মিলল তার। কোথাও মুষলধারে, কোথাও আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলল। এ দিন সাতসকালেই দু’পশলা বৃষ্টি হয়েছে করিমপুরে। বেলার দিকে বৃষ্টি না হলেও আকাশ থেকে মেঘ সরেনি। তবে রোদ না থাকলেও বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ একশো শতাংশ হওয়ায় মানুষের কষ্ট বিশেষ কমেনি। তবে বিকেলের পর থেকেই এলোমেলো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। মূলত ছ’টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায়। ফরাক্কা থেকে জঙ্গিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘণ্টাখানেক ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বহরমপুরে অবশ্য আধ ঘণ্টা মতো বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই জল জমে গিয়েছিল সুতির মাঠ, স্বর্ণময়ী রোড-সহ বেশ কিছু এলাকায়।
নদিয়ার বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি ভাগ্য অবশ্য এ দিন মন্দই ছিল। বিকেলের দিকে আকাশ কালো করে মেঘ জমলেও মানুষকে হতাশ করে দমকা হাওয়ায় মেঘ উড়ে যায়। দু’একপশলা ঝিরঝিরে বৃষ্টি সঙ্গে ঠাণ্ডা হাওয়া নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। নবদ্বীপে অবশ্য ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে ইদের বাজার কিঞ্চিৎ প্রভাব পড়লেও গরমের হাত থেকে রেহাই পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন সকলেই।