রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ।-নিজস্ব চিত্র
শান্তিপুরের আরবান্দির পরে এ বার রেশন বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল হল চাকদহের বনমালিপাড়া। দীর্ঘদিন ধরে রেশন না দেওয়া এবং বরাদ্দের থেকে কম রেশন সামগ্রী দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ জমছিল। শনিবার গ্রাহকরা ওই রেশন ডিলারকে মারধর করে। তাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়।
পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অভিযুক্ত রেশন ডিলারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই রেশন ডিলারের নাম রণজিৎ বল্লভ।
মাস খানেক আগে শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাথানগাছি ষষ্ঠীতলাবাজার এলাকাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
চাকদহের বিডিও নিশিথ ভাস্কর পাল বলেন, “দীর্ঘদিন রেশন সামগ্রী দেওয়া হত না বলে অভিযোগ এসেছে। স্টক মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।” তিনি জানিয়েছেন, আপাতত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাছাকাছি একটি দোকান থেকে ওই দোকানের গ্রাহকদের রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকদহ ব্লকের ঘেটুগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনমালীপাড়ায় রণজিৎবাবুর বাড়িতেই রেশনের দোকান। ওই দোকানে হাজার তিনেক গ্রাহক রয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়মিত রেশন দেওয়া হত। এই বিষয়ে গ্রাহকরা জানতে চাইলে কখনও তিনি বলতেন রেশন সামগ্রী চুরি হয়ে গিয়েছে, কখনওবা বলতেন, সরকার থেকে চাল-গম আসেনি। তার ফলে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। তাঁরা স্থানীয় অন্যান্য রেশন দোকান থেকে জানতে পারেন, রণজিৎবাবু মিথ্যা কথা বলছেন।
এদিন সকাল আটটা নাগাদ দোকান খুলে রণজিৎবাবু জানান, শুধুমাত্র কেরোসিন দেওয়া হবে। চাল-গম নেই। উত্তেজনা ছড়ায় তার পরেই। জনতা দোকান ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। রণজিৎবাবু গ্রাহকদের তর্কাতর্কি জুড়লে গ্রাহকরা তাঁকে দোকান থেকে বের করে এনে মারধর শুরু করে। যদিও তার আঘাত গুরুতর নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খবর পেয়ে চাকদহ থানার পুলিশ বাহিনী ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গ্রাহকদের অভিযোগের তদন্ত হবে আশ্বাস দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।