আবু তাহের।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ- সহ বিশ্বের ২২টি মুসলিম দেশকে অুনসরণ করে শরিয়তি আইনের কয়েকটির সংশোধনী চেয়ে ২০০২ সালের একটি বই লিখেছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভার দু’বারের সিপিএমের সাংসদ মইনুল হাসান। ওই ‘অপরাধে’ ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি পরাজিত হন। তার পর সিপিএম তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে। সাংসদের মেয়াদ ফুরিয়ে যওয়ার কয়েক বছর পর তিনি সম্প্রতি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার পর থেকে গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তৃণমূলের অন্দরেই চর্চা ছিল, দলত্যাগের পুরস্কার হিসাবে মইনুল হাসানকে মুর্শিদাবাদ লোকসভার কেন্দ্রের প্রার্থী করা হবে। হয়নি। ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দু’বারের কংগ্রেস সাংসদ মান্নান হোসেন ২০১৪ সালের পরাজিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
লোকসভায় সহানুভুতির ভোটে পাওয়ার প্রত্যাশায় মাস পনেরো আগে প্রয়াত মান্নান হোসেনের এক স্ত্রীর নাম নিয়েও চর্চা হয়েছে বিস্তর। তাঁকেও প্রার্থী করা হয়নি। ওই কেন্দ্রের একদা তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আলিও প্রার্থীর দাবিদার ছিলেন বলে তৃণমূলের এক জেলা নেতা জানান। বাদ পড়েছেন তিনিও।
শিকে ছিঁড়েছে ছাত্রাবস্থা থেকে কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আবু তাহেরের। নওদা থেকে নির্বাচিত জেলাপরিষদের এক সদস্যের সঙ্গে সদ্য তৃণমূলে যাওয়া তাহেরের রাজনৈতিক সুসম্পর্ক নেই। সেই গোষ্ঠী বিবাদ ধামাচাপা দিতে নওদা থেকে তাহেরকে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ ভোটার মুসলিম। জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘আবু তাহের নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, দাঁড়ি রাখেন। এমন মুসলিম ইমেজের চার বারের বিধায়ককেই তো মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা স্বাভাবিক।’’