তীব্র যানজটের আশঙ্কা

ফরাক্কা সেতুতে শুরু হল সংস্কার

দিনের বেলায় ছোট গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্যবাহীর গাড়ি সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে। ট্রাকের ছাড়পত্র মিলবে  রাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

ফরাক্কা ও বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪৭
Share:

ফরাক্কার সেতু-পথে শুরু হল সংস্কার।

ফরাক্কার সেতু-পথে শুরু হল সংস্কার। ফলে, আজ, শুক্রবার থেকে ফরাক্কা সেতুর উপরে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ শুরু হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানান মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথন। তিনি জানান, ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। সংস্কার চলাকালীন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে জেলা পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারও এ দিন ফরাক্কা ব্যারাজ ঘুরে দেখে বলেন, ‘‘শুক্রবার সকাল থেকে যান নিয়ন্ত্রন শুরু হবে।’’ তিনি জানান, প্রতি দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সেতু সংস্কার চলবে। এই সময়ে সেতুতে ওয়ান-ওয়ে ব্যবস্থা চালু থাকবে। দিনের বেলায় ছোট গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্যবাহীর গাড়ি সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে। ট্রাকের ছাড়পত্র মিলবে রাতে। দিনের বেলায় ভারী পণ্যবাহী গাড়ি ফরাক্কা, সুতি, রঘুনাথগঞ্জ, শমসেরগঞ্জ ও সাগরদিঘি থানা এলাকায় থমকে রাখা হবে। তাদের জন্য সেতুর ছাড়পত্র মিলবে রাতে। ফরাক্কার মতো পড়শি মালদহেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাক্কা সেতুর সংস্কারের জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে মালদহ-মুর্শিদাবাদের প্রশাসনের পাশাপাশি ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষও উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

ওই বৈঠকে ফরাক্কা ব্যারাজের জেনোরেল ম্যানেজার শৈবাল ঘোষ জানান, সেতু সংস্কারের জন্য আংশিকভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতি দিন গড়ে ১০ হাজার যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে যাতয়াত করে। মোট যানবাহনের ৩৫-৪০ শতাংশ ডবল অ্যাক্সেল যানবাহন, ২০-২৫ শতাংশ মাল্টি অ্যাক্সেল। সেই আলোচনায় ঠিক হয়, তিন দফায় ১৫৫-১৬০ দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে। প্রথম দফায় সেতুর ওপরের বিটুমিন তুলে ফেলা হবে। এ কাজের জন্য ৩৫ দিন সময় লাগবে। দ্বিতীয় দফায় এক্সপ্যানশন জয়েন্টের সংস্কার করা হবে। তৃতীয় দফায় সেতুর ওপর বিটুমিন বিছানো হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার কাজ চারমাসের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছে। সংস্কারের জন্য ঘুরপথে যানবাহন যাতায়াতের ব্যাপারে ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ করার ব্যারাজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ফরাক্কার লরি মালিকেরা শুক্রবার ব্লক অফিস ঘেরাও ও বিক্ষোভ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেননি। লরি মালিক সংগঠনের ফাইজুর রহমান জানান, সেতু সংস্কারে যানজট ভয়ঙ্কর আকার নেবে। সংস্কারের নামে খামখেয়ালি যান নিয়ন্ত্রণ মানা যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন