Ranaghat

কুপার্স পুরসভায় নির্বাচন হবে কবে, উঠছে প্রশ্ন

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছিল। তখন থেকেই প্রশাসক হিসেবে মহকুমাশাসক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ০৭:১৬
Share:

কুপার্স পুরসভা ভবন। সোমবার। ছবি সুদেব দাস।

প্রায় দশ মাস আগে মেয়াদ ফুরিয়েছে কুপার্স পুরবোর্ডের। বর্তমানে প্রশাসক হিসেবে রানাঘাটের মহকুমাশাসক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পুরভোট কবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে পুরবাসীর মধ্যে। পুরবোর্ড না থাকায় পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছিল। তখন থেকেই প্রশাসক হিসেবে মহকুমাশাসক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই পুরসভায় প্রায় ১৯ হাজার ভোটার। ২০১৭ সালের পুরসভা নির্বাচনে বিরোধীশূন্য বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কিছু দিনের পরে ভোট হয়েছিল। তত দিন প্রশাসকই দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু এ বার দশ মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও ভোট নিয়ে সরকারের কোনও উচ্চবাচ্য নেই। স্থানীয় সমস্যা, পুর প্রতিনিধির কাছে অভাব-অভিযোগ জানানো-সহ নানা বিষয়ে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে স্থানীয় স্তরে। দ্রুত ভোটের দাবি জানাচ্ছেন নাগরিকদের বড় অংশ। পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গেই ছোট পুরসভার ভোট করানো যেত বলে মত অনেকের।

Advertisement

পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ভোট হচ্ছে না?

রানাঘাটের মহকুমাশাসক রৌনক আগরওয়াল বলেন, "পুরসভার প্রশাসক হিসেবে আমি দায়িত্ব সামলাচ্ছি। নির্বাচনের বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কবে ভোট হবে, সে বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা পাইনি।"

বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের সমালোচনা করছে বিরোধীরা। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই মুহূর্তে কুপার্সে ভোট হলে তৃণমূলের নিশ্চিত পরাজয় ঘটবে। সেটা বুঝেই রাজ্য সরকার ভোট করাতে চাইছে না।" কুপার্স শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান দিলীপকুমার দাস অবশ্য বলেন, "কুপার্সে ১৮-২০ জন লোক নিয়ে বিজেপি সংগঠন করছে। তা-ও আবার একাধিক গোষ্ঠীতে ওরা বিভক্ত। যখনই ভোট হোক, কুপার্সবাসী আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। উন্নয়ন, জনসংযোগ, সারা বছর মানুষের পাশে থাকা প্রভৃতির নিরিখে এ বারও বোর্ড গঠন করব আমরা।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন