Malaria

ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে মশারি কেনার হিড়িক বাসিন্দার

রোগ থেকেবাঁচতে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়ার পাশাপাশি দিনেরবেলাতেও মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই পরামর্শ মেনেই বেড়েছে মশারির ব্যবহার।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১৭
Share:

বিক্রি বেড়েছে মশারির। নিজস্ব চিত্র

জেলায় প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ১,২০৯ জন। এর মধ্যে চলতি মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাতশো জন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও।

Advertisement

রোগ থেকেবাঁচতে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়ার পাশাপাশি দিনেরবেলাতেও মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই পরামর্শ মেনেই বেড়েছে মশারির ব্যবহার। বেড়েছে মশারি বিক্রিও। নওদার এক মশারি বিক্রেতা রুস্তম আলি বলছেন, ‘‘মাসখানেক আগেও ছোট-বড় মিলিয়ে গড়ে তিন-চারটি মশারি বিক্রি হত। তবে গত কয়েক দিন ধরে ১৫-২০টি মশারি দৈনিক বিক্রি করছি।’’ দিনেরবেলায় শিশুদের ঘুম পাড়িয়ে রাখতে বেড়েছে ছোট মশারি বিক্রিও। হরিহরপাড়ার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার শেখ বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে একাধিক ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরাও মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন। ভয়ে মশারি কিনতে হল।’’

একই সঙ্গে বেড়েছে মশা তাড়ানোর ধূপ, কয়েল, রাসায়নিকের বিক্রিও। হরিহরপাড়ার স্টেশনারি দোকানের মালিক মানিক হোসেন বলেন, ‘‘কিছু দিন ধরেই মশা তাড়ানোর কয়েল, বিভিন্ন সংস্থার লিকুইডেটর বিক্রির ব্যবহার বেড়েছে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পতঙ্গবিদ সাগ্নিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব বাড়ে। তবে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস মশা দিনেরবেলায় কামড়ায়। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। জল জমতে দেওয়া যাবে না। সব সময় মশারি টাঙাতে হবে।’’ হরিহরপাড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুহাম্মদ সাফি বলেন, ‘‘এই সময় দিন-রাত আমরা মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছি। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সে বিষয়ে সচেতন করছেন।’’ নওদায় পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মীদের সুপারভাইজ়ার মুকুল শেখ বলেন, ‘‘ডেঙ্গি এবং অন্যান্য পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায় কী করে, সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আমরা সচেতন করছি। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি, সম্প্রতি মশারির ব্যবহারঅনেকটাই বেড়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন