সাইকেলের দাবিতে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকল রাজ্য সড়ক। বৃহস্পতিবার জলঙ্গির সাগরপাড়া বাজারে ওই অবরোধের ফলে দিনভর হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। প্রথমে পুলিশ ও জলঙ্গির যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বরফ গলেনি। অবশেষে বিকেল ৫ টা নাগাদ বিডিও সাধন দেবনাথ গিয়ে তাদের আন্দলোনের বিষয়টি জেলা শাসককে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। তবে ছাত্রদের দাবি, বিডিওর আশ্বাসে নয়, রোজার জন্য অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে শুক্রবার আবারও অবরোধ হবে। বিডিও বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি জেলা শাসককে জানানো হবে, আর সাইকেল আমাদের হাতে পৌঁছালেই বিরণ করা হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল জলঙ্গি নয় জেলার ৬টি ব্লকে এখনও সাইকেল বিতরণ হয়নি। বরাত পাওয়া সংস্থা এক সঙ্গে এত সাইকেল দিতে না পারায় এমন জটিলতা তৈরি হচ্ছে। দু’দিন আগে ওই এলাকার কাজিপাড়া হাইস্কুলের ছাত্ররাও প্রায় ২ ঘণ্টা পথ অবরোধ করে। কিন্তু এ দিন সাগরপাড়া হাইস্কুল ও গালর্স স্কুল নিজেদের স্কুলের সামনে অবরোধে নামে একই সড়কে। পরে সকলে মিলে এক সঙ্গে গালর্স স্কুলের সামনে জড়ো হলে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। সাগরপাড়া গালর্স স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সম্পা দে বলেন, ‘‘স্কুলের ছাত্ররা আমাকে এসে স্কুল ছুটি দিতে এবং ছাত্রীদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য বলতে বলে। আমি তাতে রাজি হয়নি। ছাত্রীরা আন্দোলন করবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। প্রায় সন্ধ্যা পযর্ন্ত গেট বন্ধ করে রাখে ওরা। ছাত্রীরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’’ যদিও ছাত্রদের দাবি, ‘‘বিশেষ কোনও কারণে প্রশাসন জলঙ্গিকে বঞ্চিত করছে। মহকুমার সব স্কুল সাইকেল পেলেও আমাদের দেওয়া হয়নি। বিডিওকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা পথ অবরোধ করেছি।’’