by election

Santipur By-Election: ‘হুমকি’র জেরে বিজেপি নেতাকে ঘরে তালাবন্দি করলেন মা, অভিযোগ ওড়াল তৃণমূল

বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তালাবন্দি ওই বিজেপি নেতাকে ব্যক্তিকে মুক্ত করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৪২
Share:

তালাবন্দি থাকা বিজেপি নেতা তাপস দাস। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের হুমকির জেরে বিজেপি নেতাকে তালাবন্দি করে রাখলেন তাঁর মা। এমনটাই অভিযোগ উঠল শান্তিপুরের বেলঘরিয়া এলাকায়। পরে শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তালাবন্দি ওই বিজেপি নেতাকে মুক্ত করেন। যদিও বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওই ঘটনাকে ‘নাটক’ আখ্যা দিয়েছে জোড়াফুল শিবির।
শান্তিপুর বিধানসভার বেলঘরিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫২ বিঘা এলাকার বাসিন্দা তাপস দাস। তিনি ওই এলাকার বিজেপি নেতা। তাঁর মা মাধবী দাসের অভিযোগ, ‘‘ওরা বলল, ছেলে গেলে মারবে। সেই জন্য তালা দিয়েছি।’’ ওরা কারা? তা অবশ্য প্রথমে বলতে চাননি মাধবী। পরে তিনি বলেন, ‘‘ওরা তৃণমূল করে। সকলকেই চিনি। কারও নাম বলব না। অনেক লোক বাড়িতে এসেছিল।’’ অবশ্য গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল এমন হুমকি দেয়নি বলেও জানিয়েছেন মাধবী। ক্যামেরার সামনেই তালাবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয় তাপসকে। ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার এক্তিয়ারে সাতটি বুথ। একটি বুথে এজেন্ট দিতে পারিনি। সেখানে আমিই বসব বলে স্থির করেছিলাম। কিন্তু আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।’’ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তাপসের বক্তব্য, ‘‘প্রশাসন আছে বলে তো মনে হয় না।’’

Advertisement

শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল শান্তিপুরে হেরে যাওয়ার ভয়ে সারা রাত ধরে মধ্যযুগীয় কায়দায় সন্ত্রাস চালিয়েছে। সন্ত্রাস কোন পর্যায়ে গেলে এক জন মা সন্তানকে তালা বন্ধ করে রেখে দিতে পারেন? আমাদের এজেন্টদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আগুন দিয়েছে।’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাপসকে তালাবন্দি করে রাখার ঘটনা ‘নাটক’ বলেই দাবি করেছে জোড়াফুল শিবির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন