Santipur

Santipur Bypoll: উপনির্বাচনের আগে বুধে শান্তিপুরে শেষপ্রচার, জয় নিয়ে তরজা অব্যাহত শাসক-বিরোধীর

তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর দাবি, তাদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি-র প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের কটাক্ষ, দিবাস্বপ্ন দেখছে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৭:২৭
Share:

শান্তিপুরে পদযাত্রায় তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। —নিজস্ব চিত্র।

শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয় তাদেরই হবে। বুধবার শেষ ভোটপ্রচারে একই দাবি তৃণমূল এবং বিজেপি-র। জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী দুই প্রার্থীর মধ্যে এ নিয়ে তরজাও অব্যাহত। তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর দাবি, তাদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। অন্য দিকে, বিজেপি-র প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের পাল্টা দাবি, শান্তিপুর জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছে তৃণমূল।

৩০ অক্টোবর, শনিবার খড়দহ, দিনহাটা, গোসাবা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তার আগে বুধবারই ছিল ভোটপ্রচারের শেষ দিন। বুধবার দু’দলের প্রার্থীই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নদিয়া জেলার শান্তিপুর শহর এবং ব্লকে দফায় প্রচার করেন। ব্রজকিশোরকে সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা করেন নদিয়া দক্ষিণের তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ কর। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। শেষ দিনের প্রচারে শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় পদযাত্রায় মাঝেই ব্রজকিশোরের দাবি, ‘‘জয়ের বিষয়ে আর কিছু বলার নেই। কারণ প্রচারে মানুষ যে ভাবে সাড়া দিয়েছে, তাতেই প্রমাণিত শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল জিতে গিয়েছে। অর্থাৎ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা!’’

Advertisement

বিজেপি-র প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের দাবি, শান্তিপুর জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছে তৃণমূল। —নিজস্ব চিত্র।

শেষবেলায় জোরকদমে প্রচার সেরে নিয়েছেন বিজেপি-ও। দলীয় প্রার্থী নিরঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর হয়ে শান্তিপুর টাউনে প্রচারে আসেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেখানে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল তাঁদের। প্রচারের পর জয় নিয়ে তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে নিরঞ্জনের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল দিবাস্বপ্ন দেখছেন। দিবাস্বপ্ন দেখা ভাল। তবে শান্তিপুরের মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে রয়েছে। আগেও তার প্রমাণ মিলেছে। ভোটের পর ইভিএম দেখেই তা বুঝতে পারবে যে মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই।’’

উপনির্বাচনে কংগ্রেসপ্রার্থী রাজু পালের হয়ে বুধবার প্রচার করেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নদিয়া কংগ্রেসের সভাপতি অসীম সাহা।

Advertisement

প্রঙ্গগত, বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের অজয় দে-কে পিছনে ফেলে ১৫ হাজার ৮৭৮ ভোটে জিতেছিলেন বিজেপি-র জগন্নাথ সরকার। তবে রানাঘাট আসনে নিজের সাংসদ পদ ধরে রেখে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন জগন্নাথ। সে কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন