জোগানে কমতি কাপড়ের ব্যাগের

দোকানির কাছে কাপড়ের ব্যাগ আছে। কিন্তু তাতে হাত দিতে তিনি রাজি নন। তাঁর কথায়, “কাপড়ের ব্যাগ দিতে পারি। কিন্তু তার জন্য চার টাকা বেশি দিতে হবে। কারণ, এক কেজি পোল্ট্রির মাংস বেচে এত টাকা লাভ হয় না যাতে চার টাকার ব্যাগ ফ্রি দেওয়া যেতে পারে।’’

Advertisement

সুস্মিত হালদার 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১১
Share:

চাহিদা এমন ব্যাগের। নিজস্ব চিত্র

মাংসটা শাল পাতায় মুড়ে দিয়েছেন দোকানি। কিন্তু ক্রেতা বেশ বিরক্ত। তাঁর বক্তব্য, শাল পাতায় মুড়ে দিলে থলির ভিতরে মাংস ছড়িয়ে যাবে। অন্য মালপত্রের সঙ্গে মাখামাখি হবে। রক্ত গড়িয়ে পড়বে।

Advertisement

দোকানির কাছে কাপড়ের ব্যাগ আছে। কিন্তু তাতে হাত দিতে তিনি রাজি নন। তাঁর কথায়, “কাপড়ের ব্যাগ দিতে পারি। কিন্তু তার জন্য চার টাকা বেশি দিতে হবে। কারণ, এক কেজি পোল্ট্রির মাংস বেচে এত টাকা লাভ হয় না যাতে চার টাকার ব্যাগ ফ্রি দেওয়া যেতে পারে।’’ অগত্যা চার টাকা গচ্চা দিয়েই কাপড়ের ব্যাগ নিতে হয় ক্রেতাকে।

কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজারের এটা চেনা ছবি। ছোট দোকানগুলো এই ভাবেই চলছে। সেটা মাছের বাজার হোক বা আনাজের। মাংসের হোক বা মুদির। খুব বড় দোকানে কাপড়ের ব্যাগ দিলে পয়সা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীরা বলছেন, “টাকা নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।”

Advertisement

আনাজ বা মুদির দোকান ছাড়াও বিভিন্ন দোকানে ক্যারিব্যাগের পরিবর্তে শুরু হয়েছে কাপড়ের ব্যবহার। ফলে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। আর সেই চাহিদা মেটাতে বেগ পেতে হচ্ছে কাপড়ের ব্যাগের ব্যবসায়ীদের। বড় ব্যবসায়ীরা সরাসরি কলকাতা থেকে ব্যাগ নিয়ে আসছেন। যেমন কৃষ্ণনগরের কাপড় ব্যবসায়ী বঙ্কিম সিংহ বলছেন, “কলকাতা থেকে সরাসরি নিয়ে আসছি। এর জন্য ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনও টাকা নিচ্ছি না। আমরা আগে যে উন্নত মানের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দিতাম তার দাম আর এই ব্যাগের দাম প্রায় সমান।” আবার কৃষ্ণনগরের সান্যাল মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস বলছেন, “পুরসভা প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার আগে থেকেই আমরা ক্যারিব্যগ ব্যবহার বন্ধ করে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করছি। এর জন্য ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি না।”

সান্যাল মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী প্রণবেশ সাহা আগে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবসা করতেন। এখন তিনি কাপড়ের ব্যাগের ব্যবসা করছেন। তাঁর কথায়, “চাহিদা তো প্রচুর। সেই মতো সরবরাহ করতে পারছেন না কলকাতার মহাজনেরা। স্থানীয় ভাবে কোনও কারখানা না থাকায় এলাকা থেকে তা কেনা যাচ্ছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন