এক সঙ্গে ছয় ভাইয়ের মৃত্যু— এমনটা আগে কোথাও হয়েছে? দাদাকে দাহ করে ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ভাইদের নিয়ে আলোচনায় দাঁড়ি পড়েনি ঘটনার দু’দিন পরেও। রাস্তার মোড় থেকে চায়ের দোকান, সর্বত্রই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ওই মর্মান্তিক মৃত্যু। সোমবারও হোগলবেড়িয়ার দেওয়ানপাড়া থেকে ভেসে এসেছে কান্নার সুর। রবিবারের মতো সোমবার সকাল থেকে বিশ্বাস বাড়িতে ছিল প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন-সহ অগুনতি মানুষের ভিড়।
এলাকার বেশির ভাগ পুরুষ সোমবার বহরমপুর শ্মশানে ছ’য় ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। দেওয়ানপাড়ার কল্পনা সরকার কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, গ্রামের কারও বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি। কোনও রকমে কিছু খেয়েই কাটছে দিন। গ্রামের অনেকেই জানালেন, পাড়ার পুজো পার্বণ থেকে মহোৎসব সব কাজেই আগে থাকত ওই পরিবার। রাস্তার পাশে বসে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা মহারঞ্জন ঘোষ, চিন্ময় সরকারের কথায়, ‘‘গ্রামের সকলেই যেন নিথর হয়ে গিয়েছেন।”