মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করার সুপারি এল আমেরিকা থেকে!

বড়ঞার আন্দির বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু বহরমপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭ ০২:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ পেয়ে তিনি নিজেই গিয়েছিলেন থানায়। ডিউটি অফিসার অভিযোগ না নিয়ে, ফোন বন্ধ করে তাঁকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের সুপারি দেওয়া সেই হোয়াটস অ্যাপ বার্তা নিয়ে হইচই শুরু হতেই মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ বুধবার যেচে কথা বলল ইঞ্জিনিয়রিংয়ের ছাত্র কৃষ্ণেন্দু রুজের সঙ্গে।

Advertisement

বড়ঞার আন্দির বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু বহরমপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সোমবার দুপুরে আচমকা মার্কিন মুলুকের একটি নম্বর থেকে তাঁর হোয়াটস অ্যাপে একটি মেসেজ আসে। নিজেকে ‘ল্যাটিন’ বলে পরিচয় দেওয়া এক জন তাঁকে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মারার সুপারি দিতে চায়। তার জন্য তাকে প্রচুর ডলারের টোপ দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই প্রস্তাব না মানায়, তাকে কার্যত হুমকি দেওয়া শুরু করে।

আরও পড়ুন: গুরুঙ্গকে ধরা দিতে নির্দেশ

Advertisement

ভয় পেয়ে সেদিনই বহরমপুর থানায় যান কৃষ্ণেন্দু। কিন্তু, অভিযোগ না নিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে সেই নম্বর থেকে ফের মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়, তাঁর থানায় যাওয়ার কথা তাঁরা জানতে পেরেছেন। তিনি যদি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তা হলে তাঁকে খতম করা হবে। কলেজে তাঁর পরীক্ষা চলছে। এমন ঘটনায় তিনি চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁর এক পরিচিত বিষয়টি কলকাতায় সিআইডি-কে জানান। তার পরেই সিআইডি কর্তারা কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করে, তদন্তের আশ্বাস দেন।

বিষয়টি নিয়ে সিআইডি আসরে নামায় হইচই শুরু হয় জেলা পুলিশে। এ বিষয়ে বহরমপুর থানার আইসি শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘থানার কোন অফিসার ওই ছাত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই যুবক আমার সঙ্গে দেখা করলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারতাম।’’ বুধবার পুলিশ কৃষ্ণেন্দুকে ডেকে পাঠায়। বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন কৃষ্ণেন্দু।

পরে কৃষ্ণেন্দু জানান, পুলিশ সুপার আমাকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি নিশ্চিন্তে থাকতে বলেছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনীশ চক্রবর্তীর কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। তবে এই বিষয়ে পুলিশ কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন