শ্বশুরকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত জামশের শেখ চাপড়ার মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে নাকাশিপাড়া থেকে পুলিশ ধরে।
বছর খানেক আগে চাপড়ার শিকরা গ্রামের বাসিন্দা সখিসোনার সঙ্গে বিয়ে হয় জামশেরের। মাস দু’য়েক আগে তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে সখিসোনাকে মারধর করত জামশের। সোমবারেও সখিসোনাকে মারধর করে সে। খবর পেয়ে তাঁর বাবা-মা মেয়ের বাড়ি যান।
রাতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলার সময় জমশের তাঁর শ্বশুর ওয়াব শেখকে (৫০) আলাদা ভাবে কথা বলার জন্য দোতলার ছাদে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেই ছাদ থেকে ওয়াবকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় জামশের। বিষয়টি জানাজানি হতেই ছুটে আসেন সখিসোনা। তাঁকেও জামশের দা দিয়ে কোপায়। চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সখিসোনাকে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় ওয়াবের। ওই রাতেই সখিসোনা জামশেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও বছর ত্রিশের জামশেরের দু’বার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তার আগের বিয়েগুলো টেঁকেনি। বছর খানেক আগে সে ফের সখিসোনাকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শুরু হয় অশান্তি। সখিসোনার দাদা রবিউল শেখ বলেন, “বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য বোনকে মারধর করত। সোমবার সকাল থেকে একই ঘটনা ঘটতে থাকায় আমার বাবা আর মা গিয়েছিলেন আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেবেন বলেন। তখনই আমার বাবাকে আলাদা কথা বলার জন্য ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দেয় জামশের।”
একই কথা বলছেন ওয়াবের স্ত্রী বালুরা। তিনি বলেন, “আলাদা করে কথা বলবে বলে মানুষটাকে ছাদে ডেকে নিয়ে গেল। একবারও বুঝতে পারিনি যে জামাই এতবড় একটা পরিকল্পনা করে বসে আছে। চোখের সামনে সব ঘটে গেল। এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।” এই ঘটনার পরে জামশেরের পাশাপাশি সখিসোনার শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সকলেই পলাতক।