স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিপাকে ফেলতে সটান আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন ডোমকলের ধুলাউড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলাম।
বুধবার সে মামলার রায় ঘোষণা হতে দেখা গেল— শ্বশুরবাড়ি নয়, বরং মিথ্যে মামলার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন খোদ শফিকুলই।
মিথ্যা মামলা দায়ের করায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১১ ও ১৯৫ ধারায় শফিকুলকে অভিযুক্ত বলে ঘোষণা করেছেন জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুজিতকুমার ঝাঁ। শফিকুলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য মুর্শিদাবাদের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এ দিন, ওই মামলা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী আরিফুজ্জামান জানান— মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীন শফিকুল আদালতে দাঁড়িয়ে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হয়রান করার জন্য মিথ্যা মামলার কথা মেনেও নিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে ডোমকল থানার ধুলাউড়ি গ্রামের শফিকুল দৌলতাবাদ গ্রামের ছুটিপুরের বেদনা বিবির বিয়ে হয়। তাঁদের বছর দুয়েকের এক শিশুপুত্র রয়েছে। তবে, বিয়ের বছর তিনেকের মধ্যেই, ২০১৩ সালে শফিকুল ডোমকল থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান— তিনি বেশ কয়েক হাজার টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি দৌলতাবাদে গিয়েছিলেন, সেই রাতে স্ত্রী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় জেলা জজ আদালতে। বেদনা বিবির আইনজীবী বাবুল আখতার শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে জেরবার হয়ে এক সময়ে শফিকুল মেনেই নেয়, শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কিঞ্চিৎ ‘হয়রান’ করতেই ওই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছিল সে।
ছেঁড়া নোট। বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএমের কার্যালয় ও জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের কাছেই একটি নর্দমার পাশে ৫০০ ও ১০০০ টাকার দুটি নোটের বেশ কয়েকটি টুকরো পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নোটগুলি উদ্ধার করে।