ছোট ছেলের প্রতি ভরসা ছিল না বাবার। ফলে পারিবারিক জমি বণ্টনের সময় নাতির নামে লিখে দিয়েছিলেন বিঘা দেড়েক জমি। তাতেই বাবা উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ছোট ছেলে বিকাশ সরকার। রাগের চোটে বুধবার রাতে ৬৩ বছরের সুশীল সরকারের পিটিয়ে মারে ছেলে বিকাশ। ইসলামপুরের শিবকৃষ্ণপুর গ্রামের ঘটনা।
পরিবার সূত্রের খবর, বিকাশ ছোটবেলা থেকেই অসৎসঙ্গে পড়েছিল। অত্যন্ত বদ মেজাজী ছিল। বিভিন্ন নেশা করত। অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েছিল। ফলে পরিবারের কেউই তাকে পছন্দ করতেন না। বাবা অন্য ছেলে মেয়েদের নামে জমি লিখে দিলেও ভরসা করেননি তাকে। পরিবর্তে বিকাশের ছেলের নামে সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল জমি।
নিজের নামে জমি না-পেয়ে মাথার ঠিক রাখতে পারেনি বিকাশ। ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, বাবাকে যথেচ্ছ কিল, ঘুঁসি ও লাথি মেরেছে ছেলে। গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে বিকাশকে।’’ সুশীল সরকারের তিন ছেলে আর এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। বিকাশের বিয়ে হয়েছিল বছর সাতেক আগে। এক সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর বছর পাঁচেক আগে মৃত্যু হয় তার স্ত্রীর।
তারপর থেকে সুশীলবাবু জমিজমা সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু ছোট ছেলের নামে জমি দিতে চাননি তিনি। বিকাশ তা মানতে পারেনি। তার দাবি ছিল, জমি তার নামেই দিতে হবে। বাবাকে নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করছিল সে। বুধবার রাতে দাদাদের অনুপস্থিতির সুযোদে মদ্যপ বিকাশ বাবাকে বিছানা থেকে নামিয়ে বেধড়ক কিল, ঘুঁসি ও লাথি মারতে থাকে। তার মা বাধা দিলে তাঁকেও মারে। ছেলের মারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুশীলবাবুর। ঘটনার পর বিকাশ পালিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।