ফাঁকা স্টল। নিজস্ব চিত্র
আগের দিন ছিল জমজমাট। সরকারি কাজ ফেলে দিব্যি বসে বই বিক্রি করছিলেন কিছু গ্রন্থাগারিক।
মঙ্গলবার দেখা গেল, বহরমপুর বইমেলায় তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সেই স্টল ধু-ধু ফাঁকা। লোক তো নেই-ই, বইটইও উধাও। টেবিলে কাপড় নেই। তাকে বসানো রয়েছে কেবল একটি হেলমেট।
সোমবার বিকেলে ওই স্টলে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, মেলায় সরকারি কাজ নিয়ে আসা কিছু সরকার-পোষিত গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক বসে রসিদ কেটে বই বিক্রি করছেন। এই নিয়ে প্রশ্ন তুললে তৃণমূল অনুগামী ‘পশ্চিমবঙ্গ সাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতি’র জেলা সভাপতি ফারুক হোসেন দাবি করেন, এটা তাঁদের ‘কাজনৈতিক অধিকার’।
তা হলে সংবাদপত্রে সেই খবর বেরোতেই হল ফাঁকা হয়ে গেল কেন?
ফারুকের দাবি, ‘‘বই সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই স্টল ফাঁকা। কেউ বসেনি।’’ মেলা শেষ হতে যেখানে দু’দিন বাকি, কলকাতা থেকে বই না আনিয়ে স্টল বন্ধ করা হল কেন? তাঁর জবাব, ‘‘নেতাদের জিজ্ঞাসা করুন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন অসুস্থ। আর, কার্যকরী জেলা সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডলকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উজ্জ্বল অবশ্য আগের দিনই বলে দিয়েছিলেন, দলের স্টলে দলের লোক ছাড়া আর কারও থাকার কথা নয়। বইমেলা কমিটির সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেছিলেন, ‘‘এমন খবর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ কিন্তু এ দিন তিনিও ফোন ধরেননি। মেসেজ পাঠালেও জবাব মেলেনি। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক তথা বইমেলা কমিটির সচিব প্রবোধ মাহাতো সচিব সোমবার বলেছিলেন, কোনও স্টলে বই বিক্রি করা গ্রন্থাগারিকদের তাঁদের কাজ নয়। এ দিন তিনিও ফোন বা মেসেজের জবাব দেননি।