ঝড়-জলে ক্ষতি দুই জেলাতেই

রবিবাসরীয় সন্ধ্যার আচমকা ঝ়ড়ে দক্ষিণবঙ্গের দুই জে‌লা- নদিয়া, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘন্টা খানেকের তুমুল ঝড়-বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বহরমপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। গাছের ডাল ভেঙে বহরমপুর শহর ও লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর ও বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৫ ০০:২২
Share:

রবিবাসরীয় সন্ধ্যার আচমকা ঝ়ড়ে দক্ষিণবঙ্গের দুই জে‌লা- নদিয়া, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

ঘন্টা খানেকের তুমুল ঝড়-বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বহরমপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। গাছের ডাল ভেঙে বহরমপুর শহর ও লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে যায়। বহরমপুর রবীন্দ্র সদনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে রাস্তায়। তার জেরে রবীন্দ্রসদন-সহ জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবন অন্ধকারে ডুবে যায়। গোরাবাজারের ব্যাপক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায়। বহরমপুর লাগোয়া কাশিমবাজার এলাকাতেও বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। কাশিমবাজার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের সহকারি বাস্তুকার গৌতম মণ্ডল জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে ৫টি খুঁটি ভেঙে যায়। প্রায় ২০-২৫ জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেও রাতে সব জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে সোমবার দুপুর গড়িয়ে যায়।

অন্য দিকে, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে নদিয়ার শান্তিপুরে। শহর ছাড়াও ক্ষতি হয়েছে আশপাশের এলাকাতেও। বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাত থেকে সোমবার বিকেল পড়ে বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল। বেশ কিছু বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের অজয় দে বলেন, ‘‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যাতে সরকারি সাহায্য পান, তার চেষ্টা চালাচ্ছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন