গত ২৬ অক্টোবর ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া রুখতে স্কুলে স্কুলে কমিটি গড়ার নির্দেশ পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। পাশাপাশি, গত সপ্তাহের শেষেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের মারফত স্কুলগুলিতে একটি চিঠির বয়ানও পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিদর্শককে উদ্দেশ করে লেখা সেই চিঠিতে প্রধান বা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জানাতে হবে, পড়ুয়াদের ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচাতে তাঁরা যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও নেবেন। এই জোড়া নির্দেশ যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে শিক্ষকমহলের একটা অংশ। তাঁদের মতে, ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করে তাদের বাড়ি ও পাড়াপড়শিকে সতর্ক করাও এর উদ্দেশ্য।
কিন্তু এত দেরিতে এই নড়াচড়া শুরু হয়েছে আর শেষ লগ্নে এমন তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে যে কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। বাম শিক্ষক সংগঠনের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক দুলাল দত্তের কটাক্ষ, “ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের ছুঁচো গেলা অবস্থা! তাই স্কুলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কমিটি গড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা হচ্ছে!” সুতির একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা ওবাইদুর রহমানও বিস্মিত, ‘‘গ্রামের পর গ্রামে জ্বর, ডেঙ্গির আতঙ্ক। এত দিনে মনে পড়ল কমিটি করার কথা!’’
ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই সপ্তাহের শুরুতেই চিঠি পাঠাতে বলা হয়েছে অনেক স্কুলকে। কিন্তু বাস্তবে বহু স্কুলেই এখনও চত্বর সাফসুতরো করা থেকে ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ বাকি। তাড়াহুড়োর চোটে সে সব পর্ব না-সেরেই কিছু স্কুল বয়ান-মাফিক চিঠি পাঠিয়ে দিতে পারে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকেরা অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, কাজ না সেরেই স্কুল চিঠি পাঠিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।