আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ঘটনায় মৃতার ভাসুর ও জা’কে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কলাতলায় প্রিয়াঙ্কা মিত্র (২৪) তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। ওই ঘটনায় মৃতার মা সুচিত্রা নন্দীর নবদ্বীপ থানায় মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর এবং জায়ের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিজিৎ পেয়ে ভাসুর বিদ্যুৎ মিত্র এবং জা পম্পা মিত্রকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের নবদ্বীপের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়।
নবদ্বীপ আদালতে সরকারি কৌঁসুলি নবেন্দু মণ্ডল জানান, “ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৩০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বিচারক ধৃতদের চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।” স্থানীয় বাসিন্দা লাল্টু মিত্রের সঙ্গে বছর চারেক আগে অগ্রদ্বীপের মাঠপাড়ার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য প্রিয়াঙ্কার উপর তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নির্যাতন চালাত। তার স্বামী পেশায় শ্রমিক লাল্টু মিত্র কাজের জন্য বর্তমানে আন্দামানে থাকেন। তাঁদের একটি তিন বছরের সন্তান আছে।
মৃতার দিদি কাকলিদেবী জানান, বিয়েতে প্রিয়াঙ্কাকে অগ্রদ্বীপে তিনবিঘা জমি দেওয়া হয়েছিল। সেই জমি নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। প্রিয়ঙ্কার ভাসুর প্রথম থেকেই ওই জমি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা তাতে রাজি ছিলেন না। সে জন্য তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করত সবাই। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
অভিযোগ, সোমবার ফের অশান্তি শুরু হয়েছিল। বাপের বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানান প্রিয়াঙ্কা। কাকলিদেবী বলেন, “শেষবার ফোন করে বলে কাউকে ছাড়বি না। তারপর ওকে মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় দেখি।”