21 July Rally

একই বাসে পাশাপাশি মহুয়া-বিমলেন্দু শিবির

করিমপুরে তৃণমূলের এই দুই শিবির অন্তর্দ্বন্দ্ব পাশে সরিয়ে হাত মেলানোতে এ বার এখান থেকে সমাবেশমুখী বাসের সংখ্যাও কমেছে।

Advertisement

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

 করিমপুর  শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ০৬:৪৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এখন আর তাদের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই, অন্তত প্রকাশ্যে এমনই দাবি করিমপুরে মহুয়া মৈত্র এবং বিমলেন্দু সিংহ রায়ের একদা যুযুধান দুই শিবিরের। পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় দলের ফলও ভাল হয়েছে। ফলে দীর্ঘ সময় পরে এ বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে দুই তরফের নেতা-কর্মীরা এক সঙ্গে, একই বাসে পাশাপাশি বলে কলকাতায় যাবেন বলে দলীয়সূত্রের খবর।

Advertisement

করিমপুরে তৃণমূলের এই দুই শিবির অন্তর্দ্বন্দ্ব পাশে সরিয়ে হাত মেলানোতে এ বার এখান থেকে সমাবেশমুখী বাসের সংখ্যাও কমেছে। কারণ, এ বার আর আলাদা-আলাদা বাসের দরকার পড়ছে না। দলের অন্দরেই অনেকে বলছেন, আড়ি ভুলে পরস্পরবিরোধী দুই শিবির এ বার ভাব করে নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছেন। না হলে এত দিন যে কোনও কর্মসূচি দুই শিবির আলাদা পালনেই অভ্যন্ত ছিল।

বছর দু’য়েক আগে করিমপুরের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিভাজন প্রকট হতে শুরু করে। যে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে বিমলেন্দু সিংহ রায় উপস্থিত থাকতেন, সেই সভাতে তার বিরোধীপক্ষ মহুয়া শিবিরের কাউকে দেখা যেত না। আবার মহুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা যখন দলের নানাবিধ কর্মসূচি পালন করতেন, সেখানে ডাক পেতেন না বিমলেন্দু সিংহ রায় ওতাঁর ঘনিষ্ঠেরা।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল নেতৃত্ব উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। দুই শিবির থেকেই পঞ্চায়েতে প্রার্থীদের তালিকা আলাদা ভাবে দেওয়া হয়েছিল। যদিও প্রতীক বন্টনের পরপরই উচ্চ নেতৃত্বের কড়া নির্দেশে দুই শিবিরের পক্ষ থেকেই গোঁজ প্রার্থীদের মনোনয় প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়। দলের উচ্চ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বিরোধ চাপা দেওয়া সম্ভব হয় এবং করিমপুর এলাকায় তৃণমূল ভাল ফল করে।

মহুয়া ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত তরুণ সাহা কলকাতায় বিমলেন্দু শিবিরের সঙ্গে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "রাজনীতিতে মাঝে মাঝে মতপার্থক্য হতেই পারে। এখন করিমপুর এলাকাতে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। আমাদের শ্রদ্ধেয় বিধায়ক বিমলেন্দু, ব্লক সভাপতি আশিস সকলে মিলে একসঙ্গে কলকাতার সমাবেশে যাওয়া হবে বলে ঠিক হয়ে আছে।’’

বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় বলেন, "বিবাদ মিটিয়ে নতুন করে সম্পর্ক হলে সে সম্পর্কের গভীরতা অনেক বেশি হয়। আমাদের করিমপুর থেকে আর আলাদা ভাবে নয়, ২১ জুলাইয়ের জন্য আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে যাব, এটাই ঠিক আছে।’’

বিগত বছরগুলি তুলনায় এ বারে একুশে জুলাই উপলক্ষে করিমপুর থেকে কিছু গাড়ি কম যাবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের যুক্তি, আগে কোন পক্ষ কত বেশি গাড়িতে লোক নিয়ে যেতে পারে তা নিয়ে রেষারেষি চলত। তাতে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যেত। অনেক গাড়িই ফাঁকাফাঁকা যেত। এ বারে দুই পক্ষের মধ্যে ‘ভাব’ হওয়ায় মিলেমিশেই গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন