জোড়া বিয়ে রুখল স্বয়ংসিদ্ধা

আবারও দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল স্বয়ংসিদ্ধা গোষ্ঠী। ১৮ মার্চ স্বয়ংসিদ্ধা গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার পর গত দেড় মাসে এই নিয়ে পাঁচটি নাবালিকার বিয়ে বন্ধ হল। রবিবার তেহট্টের ছিটকা গ্রামের দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল নাজিরপুর সারদা বালিকা বিদ্যালয়ের স্বয়ংসিদ্ধা গোষ্ঠীর সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমপুর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০২:০০
Share:

আবারও দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল স্বয়ংসিদ্ধা গোষ্ঠী।

Advertisement

১৮ মার্চ স্বয়ংসিদ্ধা গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার পর গত দেড় মাসে এই নিয়ে পাঁচটি নাবালিকার বিয়ে বন্ধ হল। রবিবার তেহট্টের ছিটকা গ্রামের দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল নাজিরপুর সারদা বালিকা বিদ্যালয়ের স্বয়ংসিদ্ধা গোষ্ঠীর সদস্যরা। ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুপর্ণা সাহার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল ৮ মে। পাত্র নওদার কুলাইচণ্ডি গ্রামের তরুণ সাহা। ওই গ্রামেরই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী অসীমা বিশ্বাসেরও বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ৯ মে। ষোলো বছরের সুপর্ণা ও পনেরো বছরের অসীমার বিয়ের কথা ছাত্রীদের কাছ থেকে স্কুলের শিক্ষিকারা জানতে পারেন। স্বয়ংসিদ্ধা গোষ্ঠীর সদস্যেরা নাবালিকার পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো রবিবার দুপুরে ছিটকা গ্রামে গিয়ে দুই পরিবারকে বোঝায় ওই পড়ুয়ারা। তাতে কাজও হয়। ওই দুই নাবালিকার অভিভাবকেরা জানান, আঠারোর বছরের আগে তাঁরা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। নাজিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিক সুজয়কুমার মণ্ডল বলেন, “আগামীতে নাবালিকা বিয়ের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে জোরদার প্রচার করা চলবে। সেখানে ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।’’

স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ কমিটির সদস্য প্রদীপ্ত দাস জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রধান শিক্ষিকা, এক জন সহকারি শিক্ষিকা, পুলিশ, গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সদস্যাকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির সদস্য এমন ছাত্রীরা ক্লাসের ভিতরে বাল্য বিবাহের কুপ্রভাব সম্পর্কে প্রচার চালাবে। তারা নিজেদের এলাকায় কোনও নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে কিনা, সে খোঁজও রাখবে। ওদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই এ দিন জোড়া বিয়ে আটকানো হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন