অনেক সময় মিড ডে মিলের অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হয়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
মিড ডে মিল এই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে অন্তত দিনগত পাপক্ষয় নয়। বরং মিড ডে মিলকে কী করে আরও অন্যরকম করা যায় তা নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে এই স্কুল। খাবারের তালিকায় নিত্য নতুন পদ থেকে শুরু করে ঝকঝকে টেবিলে বসিয়ে ছাত্রদের মিড ডে মিল খাইয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা শিক্ষা দফতরের কর্তাদের নজর কেড়েছেন আগেই।
এ বার ধর্মদা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের টাকায় কিনে ফেললেন একটা ঢাউস ফ্রিজ। কেন? শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় মিড ডে মিলের অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হয়। ফেলে দিতে হয়। এ বার অন্তত সেই খাবার ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রীবাস দাস জানান, স্কুলের শিক্ষকেরা প্রতি মুহূর্তে আরও কী ভাবে মিড ডে মিলের উন্নতি করা যায়, কী ভাবে আরও ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে ভাবেন। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ। এ বার ওই স্কুলে যোগ দেওয়া পাঁচ জন নতুন শিক্ষক প্রায় ১৯ হাজার টাকা খরচ করে একটা বড় ফ্রিজ কিনে দিয়েছেন। জেলার এগিয়ে থাকা প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে অন্যতম ধর্মদা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়। স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৬২ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১২ জন। তাঁদের মধ্যে সুজয় দাস, সরমান আলি শেখ, কুতুব শেখ, আবু বক্কর মণ্ডল ও সুরজিৎ দাঁ এ বছরেই স্কুলে যোগ দিয়েছেন। স্কুলের পঠনপাঠনের পাশাপাশি মিড ডে মিল নিয়ে শিক্ষকদের আন্তরিকতা দেখে তাঁরাও উৎসাহিত হয়ে নিজেরদের প্রথম মাসের বেতনের টাকা হাতে পাওয়ার পরে এই ফ্রিজটি কিনে দেন।
সোমবার ইদের দিনে তাঁরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হাতে সেই ফ্রিজ তুলে দেন। ওই পাঁচ শিক্ষকের কথায়, “এই স্কুলে শিক্ষকতা করতে এসে আমাদের একটা জিনিস অবাক করেছিল। সেটা শিক্ষকদের আন্তরিকতা। সেটা দেখেই আমরা উৎসাহিত হলাম। সবাই ভেবে ফ্রিজটার কথাই মাথায় এল। ’’