নারী দিবসে দফতর চিনল কিশোরীরা

বয়ঃসন্ধি কালে ছেলেমেয়েদের মন অনেক বেশি চঞ্চল ও আবেগতাড়িত হয়ে থাকে। যে কারণে এই বয়সে অনেকে ভুল পদক্ষেপ করে ফেলে। অনেকে সাবালিকা না হতেই মিথ্যা ফাঁদে পা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০১:৪৬
Share:

প্রশাসনের সঙ্গে পরিচয় কিশোরীদের। কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

কিশোরীদের সচেতন করতে বিভিন্ন সরকারি দফতর চেনাচ্ছে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, শুক্রবার জেলা জুড়ে ১৫-১৮ বছরের কিশোরীদের সরকারি নানা দফতর ঘুরিয়ে তাদের সচেতন করা হয়। এ দিন তাদেরকে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা স্থানীয় থানা, হাসপাতাল, পঞ্চায়েত ও গ্রন্থাগারে যান। সেখানে সরকারি অফিসের আধিকারিকদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। আধিকারিকেরা তাঁদের দফতরের কাজকর্ম বিষয়ে কিশোরীদের জানান।

Advertisement

বয়ঃসন্ধি কালে ছেলেমেয়েদের মন অনেক বেশি চঞ্চল ও আবেগতাড়িত হয়ে থাকে। যে কারণে এই বয়সে অনেকে ভুল পদক্ষেপ করে ফেলে। অনেকে সাবালিকা না হতেই মিথ্যা ফাঁদে পা দেয়। পরিণত বয়সের আগে প্রলোভনে পড়ে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলে। আবার অনেক সময় কাজ দেওয়ার নাম করে পাচারকারীরা কিশোরী মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। এ সব বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে কিশোরীদের জানান করিমপুর থানার ওসি অভ্র বিশ্বাস। তিনি আরও জানান, বহু পরিবারে বাবা মায়েরা নাবালিকা মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এমন পরিস্থিতিতে তার স্কুল কিংবা পুলিশ প্রশাসনকে জানানো উচিত।

এ দিন কিশোরীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবনে গিয়েছিলেন করিমপুর ১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পারমিতা বিশ্বাস, রাজশ্রী নাথেরা। তাঁদের কথায়, “অফিসগুলির কাজ সম্পর্কে জেনে মেয়েরা খুব খুশি হয়েছে। এত দিন অনেক কিছুই তাদের অজানা ছিল। পুলিশ সম্পর্কে একটা ভীতি ছিল। এ দিন তা দূর হয়েছে।’’

Advertisement

করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, কিশোরী মেয়েদের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বেশির ভাগ সময় তারা নিজের রোগের কথা না বলার কারণে পরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ দিন তাদের এক সঙ্গে পেয়ে বোঝানো হয়েছে যে, কারও শারীরিক রোগ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে বিশেষ করে মায়ের কাছে তা খুলে বলতে হবে। আবার কেউ মনে করলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি কিংবা হাসপাতালের ডাক্তার, সিস্টারদের থেকেও পরামর্শ নিতে পারে। এ দিন থ্যালাসেমিয়া ও রক্তাল্পতা সম্পর্কেও কিশোরীদের বোঝানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

করিমপুরের গ্রন্থাগারিক বিশ্বনাথ সরকার জানান, কিশোরীরা স্কুলে গেলেও গ্রন্থাগারে যাতায়াত নেই এবং গ্রন্থাগারের নানা রকমের বই সম্পর্কেও তাদের অনেকের ধারণা ছিল না। কী কী সুবিধা গ্রন্থাগারে পাওয়া যায় এ দিন তাদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement