বেতন মেলেনি, বিপাকে অস্থায়ী কর্মীরা

ডিসেম্বর শেষ হতে চলল। অথচ এখনও নভেম্বর মাসের বেতন না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন কান্দি পুরসভার কয়েকশো অস্থায়ী কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

ডিসেম্বর শেষ হতে চলল। অথচ এখনও নভেম্বর মাসের বেতন না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন কান্দি পুরসভার কয়েকশো অস্থায়ী কর্মী। তাঁদের দাবি, ফি মাসের পয়লা তারিখে বেতন মেলে। এ বার মাস পেরোনোর দিন কুড়ি পরেও বেতন মিলছে না। দ্রুত বেতন দেওয়ার দাবিতে বুধবার ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান সান্ত্বনা রায়কে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান অস্থায়ী কর্মীরা।

Advertisement

ওই পুরসভায় ৪৬০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বেতন বাবদ মাসে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হয় ওই বেতন। সান্ত্বনাদেবী বলেন, “পুরকর্মীরা প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই যাতে বেতন পান, সেটা আমিও চাই। এ বার বিশেষ কারণে বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এ দিন আমাকে যে ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, সেটাও ঠিক নয়। এর পিছনে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে।’’ কিন্তু বেতন দিতে এত দেরি হচ্ছে কেন? সান্ত্বনাদেবী জানান, স্থায়ী কর্মীদের বেতন সরকার দেয়। আর অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেয় পুরসভা। নিজস্ব তহবিল থেকে। গত মাসে পুরসভা সে ভাবে কর আদায় করতে পারেনি। ফলে এই বিপত্তি।

কর দফতরের কর্মীদের দাবি, পুরসভায় অচলাবস্থা চলার কারণে কর আদায় করার এলাকায় গেলেও লোকজন সে ভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। তাছাড়াও প্রতি বছরই পুজোর পর কর আদায় কম হয়। এ বারও সেটাই হচ্ছে। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার কর্মচারী সংগঠনের সম্পাদক সুভাষ মণ্ডল বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে পুরপ্রধানের কোনও হেলদোল নেই।’’ কাউন্সিলর তৃণমূলের গৌতম রায় বলেন, “কর্মীদের নির্ধারিত সময়ে বেতন দিতে না পারলে পুর প্রধানের পদত্যাগ করা উচিত।’’ রাজনৈতিক তরজা চলছেই। এ দিকে, অস্থায়ী কর্মীরা বরাদ্দ টাকা না পেয়ে আতান্তরে পড়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন