মঙ্গলবার রাতে নদিয়ায় পুলিশ এবং বিএসএফের সংঘর্ষ। —ফাইল চিত্র।
নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করবে কে, এই নিয়ে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল পুলিশ এবং বিএসএফ। সকাল হতেই অশান্তিতে ইতি টানল দুই পক্ষ। আটক করা বিএসএফ কর্মীকে মুক্তি দিল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা ১৭৫৩ বোতল ‘ফেনসিডিল’ থাকল পুলিশের হাতে। দুই পক্ষই বলল, ‘সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’
মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ নদিয়ার কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের উপর একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ‘ফেনসিডিল’ উদ্ধার করে চাপড়া থানার পুলিশ। ঠিক সেই সময়ই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সীমানগর ৩২ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানেরা। বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইলে আইনিপ্রক্রিয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখান থেকে হাতাহাতির অভিযোগ। সংঘর্ষে রাজ্য পুলিশের তিন জন কর্মী আহত হন। পাল্টা বিএসএফের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ। বুধবার জেলা পুলিশ এবং বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি হয়েছে ওই গন্ডগোলের।
জানা গিয়েছে, বিএসএফ ও জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আলোচনার মাধ্যমে ‘ভুল বোঝাবুঝি’র অবসান ঘটান তাঁরা। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) নীলোৎপল পাণ্ডে বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ সিরাপ উদ্ধার নিয়ে নিছকই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। দু’পক্ষেরই কয়েক জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। যৌথ উদ্যোগে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’
কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সঞ্জয়মিত কুমার মাকওয়ানা জানান, সূত্র মারফত পাওয়া নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পুলিশ নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করেছিল। তা ছাড়া বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায় আটক এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আহত পুলিশকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। জেলা পুলিশ এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করে সিরাপগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে।’’
পুলিশের একটি সূত্রে খবর, দুই পুলিশকর্মী স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে বিএসএফ পুলিশের ‘সহযোগিতা’র প্রশংসা করেছে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।