ঘুরপথে দ্বিগুণ দাম পাথরের

ভারী যানের যাতায়াতে ফিডার ক্যানালের অস্তিত্ব যে বিপন্ন হতে পারে সেই আশঙ্কা করে ৮০ নম্বর জাতীয় সড়ক  নির্মাণের কাজ বছর দুয়েক আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। ফলে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত এসে থমকে রয়েছে সেই জাতীয় সড়ক।  অথচ ওই  পথ দিয়ে  রোজ ঢুকছে শয়ে শয়ে পাথর বোঝাই লরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০৭
Share:

সেতু সংস্কার।

ভারী যানের যাতায়াতে ফিডার ক্যানালের অস্তিত্ব যে বিপন্ন হতে পারে সেই আশঙ্কা করে ৮০ নম্বর জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ বছর দুয়েক আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। ফলে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত এসে থমকে রয়েছে সেই জাতীয় সড়ক। অথচ ওই পথ দিয়ে রোজ ঢুকছে শয়ে শয়ে পাথর বোঝাই লরি।

Advertisement

লরি বোঝাই এই সব পাথরের অঢেল আমদানির ফলে ফরাক্কা হয়ে উঠেছিল পাথরের জোগানদার। কিন্তু এর ফলে বর্তমানে গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নিশিন্দ্রা-সহ আশপাশের একাধিক গ্রামের জনজীবন। বেহাল সড়ক পথে মাত্রাতিরিক্ত লরি চলায় দিনভর ধুলোর ঝড়ে নাভিঃশ্বাস উঠছে এনটিপিসি’র অস্থায়ী টাউনশিপ লাগোয়া কয়েক হাজার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীর। ফরাক্কা সেতু সংস্কারের ফলে ভারী যান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের এই পথ দিয়ে পাথর বোঝাই ভারী যান আসা বন্ধ করা যায়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফরাক্কা সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এই রাস্তা বেয়ে যথারীতি ঢুকছে পাথর বোঝাই লরি। নিশিন্দ্রার বাসিন্দা তৃণমূল নেতা অমল মিশ্রের অভিযোগ, “ফরাক্কা সেতু দিয়ে পাথর বোঝাই ভারী যান যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে এই গ্রামীণ সড়কের পাশেই লরি থেকে পাথর নামিয়ে তা তোলা হচ্ছে ছোট গাড়িতে। যেহেতু ছোট গাড়ি যেতে বাধা নেই তাই অনায়াসে পেরিয়ে যায় সেতু। আর ধুলোর দাপটে দম বন্ধ অবস্থা আমাদের।”

Advertisement

আর এই কারণেই যে পাথর ১০০ ঘনফুটের দাম ছিল ফরাক্কায় ৩২০০ টাকা, এখন তা ৩৮০০ ছাড়িয়েছে। আর ফরাক্কা সেতু পেরোলেই সে দাম আকাশছোঁয়া। এক লরি মালিক বলছেন, “ফরাক্কা এলাকায় ঘনফুট হিসেবে লেনদেন চললেও মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গে পাথর, বালি বিক্রি হয় টন হিসেবে। ফরাক্কা সেতু বন্ধ হওয়াতে ৭৫০ টাকা টনের পাথর এখন মালদহে ১৩৫০ টাকা টন। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ।’’

গাড়ি মালিক বলছেন , “ঝাড়খণ্ড থেকে আনা যাচ্ছে না পাথর বোঝাই লরি। তাই তা খালি করতে হচ্ছে রাস্তার ধারে। পরে তা তোলা হচ্ছে ছোট গাড়িতে। আর তা করতে গিয়েই দাম বাড়ছে।’’

আর তা সামাল দিতে গিয়ে গ্রাম-পথে হুহু করে ঢুকছে বালি-পাথর বোঝাই লরি। ধুলোয় ঢাকছে গ্রাম। গ্রামের এক বাসিন্দার টিপ্পনি, ‘‘সে দিকে খেয়াল রাখলে চলে! লাভের গুড় মাঠে মারা যাবে যে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন