দেবীকে ঘিরে থাকবে পক্ষীরাজ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়াগঞ্জ সাধকবাগ যুবক সংঘের পুজো এ বছর ৩০ বছরে পড়ল। পুজোর সূচনাকালে যুবক সঙ্ঘের পুজোর আয়োজন হত দেবীপুর পুলের কাছে একটি জায়গায়, পরে ওই জায়গার মালিক জায়গা বিক্রি করে দেওয়ায় দুর্গাপুজো শুরু হয় সাধকবাগ আখড়ার মাঠে।

Advertisement

মৃন্ময় সরকার

জিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

শোলার হাতি। নিজস্ব চিত্র

পুজো মানেই তাদের কাছে নতুন জামার গন্ধ। পুজোর কয়েকটা দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মণ্ডপের সামনে চলে তাদের হুল্লোড়বাজি। পড়াশোনা বন্ধ থাকায় পুজোর দিনগুলো তাদের কাছে বাড়তি আনন্দ বয়ে আনে। এ বারে সেই খুদে দলের কাছে আরও বেশি করে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে জিয়াগঞ্জ সাধকবাগ যুবক সংঘের পুজোর থিম।

Advertisement

জিয়াগঞ্জের ওই পুজো কমিটির এ বারের পুজো মণ্ডপে উঠে এসেছে ঠাকুরমার ঝুলি’র পক্ষীরাজ ঘোড়া থেকে ঘুমের দেশের পরী। ‘চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে কদম তলায় কে/হাতি নাচছে ঘোড়া নাচছে সোনামণির বে’— যে ছড়া শিশুদের বইয়ে আবদ্ধ ছিল, এ বার সেই হাতি ও ঘোড়া মণ্ডপে থাকবে নাচের ভঙ্গিমায়। পুজো মণ্ডপের মধ্যেই খুদেরা দেখতে পাবে হাট্টিমাটিমের ডিম থেকে রামগড়ুরের ছানাদের। জিয়াগঞ্জ সাধকবাগ যুবক সংঘের পুজোর এ বারের থিমে বইয়ের এমন সব ছড়া থেকে ঠাকুরমার ঝুলির চরিত্ররা চলে-ফিরে বেড়াবে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিয়াগঞ্জ সাধকবাগ যুবক সংঘের পুজো এ বছর ৩০ বছরে পড়ল। পুজোর সূচনাকালে যুবক সঙ্ঘের পুজোর আয়োজন হত দেবীপুর পুলের কাছে একটি জায়গায়, পরে ওই জায়গার মালিক জায়গা বিক্রি করে দেওয়ায় দুর্গাপুজো শুরু হয় সাধকবাগ আখড়ার মাঠে। তার পর থেকে প্রতি বছর ওই সাধকবাগ আখড়া মাঠেই হয়ে আসছে পুজো। পুজো কমিটির এক কর্তা বলছেন, ‘‘এ বছর পুজোর বাজেট প্রায় আট লক্ষ টাকা।’’

Advertisement

প্রতি বছর পুজোর মণ্ডপে বাঁশ বাঁধা থেকে মণ্ডপ সাজানোর কাজ সবই করেন পুজো উদ্যাক্তারা। তাঁদের কেউ নিজেই মণ্ডপে কাপড় লাগান তো কেউ লেগে পড়েন মণ্ডপ সাজানোর কাজে। এ বছরও অবশ্য তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজো উদ্যোক্তারা কেউ শোলা দিয়ে হাতি বানাতে ব্যস্ত, কেউ আবার কাগজের ফুল তৈরি করছেন।

সাধকবাগ যুবক সংঘের সম্পাদক বিজয় বিশ্বাস বলছেন, ‘‘এ বছরের পুজোর থিম শিশুদের কথা ভেবেই করা হয়েছে। বাড়ির বড়দের কাছে রূপকথা-ঠাকুরমার ঝুলি’র গল্প শোনা ওই চরিত্রগুলো যখন মণ্ডপের মধ্যে দেখতে পাবে, তখন তারা আনন্দে ভেসে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য ওই শিশুদের আনন্দ দেওয়া।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন