বেজে চলেছে ফোন, মিঠুর হদিস নেই

ইনাম বলে কথা, তা-ও এক্কেবারে নগদ পাঁচ হাজার টাকা। কৃষ্ণনগরের চন্দন বিশ্বাস তাঁর সাধের টিয়াহারানোয় শহর জুড়ে পোস্টার দিয়েছিলেন—টিয়া ফেরালে নগদ পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার। ফোন আসতে শুরু করেছিল সকাল থেকেই— মিঠুকে পেয়েছি, নিয়ে যাবেন নাকি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৬ ০২:১১
Share:

নিখোঁজ মিঠু। ফাইল চিত্র।

ইনাম বলে কথা, তা-ও এক্কেবারে নগদ পাঁচ হাজার টাকা। কৃষ্ণনগরের চন্দন বিশ্বাস তাঁর সাধের টিয়াহারানোয় শহর জুড়ে পোস্টার দিয়েছিলেন—টিয়া ফেরালে নগদ পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার। ফোন আসতে শুরু করেছিল সকাল থেকেই— মিঠুকে পেয়েছি, নিয়ে যাবেন নাকি?

Advertisement

তা তর সয়নি বিশ্বাস বাড়ির। ‘মিঠুর’ খোঁজে গাড়ি নিয়েই সপরিবারে বেরিয়ে পড়েছিলেন চন্দন বিশ্বাস। কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজার থেকে সটান রওয়ানা দিয়েছিলেন শান্তিপুরের কাশ্যপপাড়ায়। তবে না, সে পাখি ‘মিঠু’ বলে না। ডাকে না মা বলেও। চন্দনবাবুর স্ত্রী মিনাক্ষীদেবী বলছেন, ‘‘কাশ্যপপাড়ায় নিমাই কুন্ডুর বাড়িতে গিয়ে দেখি মিঠুর সঙ্গে মিলই নেই সে পাখির।’’।ফলে সেখান থেকে খালি হাতে কৃষ্ণনগরে ফিরে আসেন তাঁরা। ফোন পেয়ে এ দিন সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগরের কালীনগরেও একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। তবে না, সেখান থেকেও ফিরতে হয়েছে শুন্য হাতেই। মিনাক্ষীদেবী বলেন, “এ দিন সকালে কোথা থেকে যে ফোন পাইনি! এই চাকদহ তো এই ফোন এল বোলপুর থেকে। ও মা সব ফাঁকি!’’ তাঁরা প্রত্যেকেই ফোন করে বলছিলেন, উড়ে আসা টিয়া পাখি পেয়েছেন। সেই মত এ দিন বিকালে শান্তিপুর ও কৃষ্ণনগরের কালীনগরে বড় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি পাত্রবাজারের বিশ্বাস বাড়ির থেকে উড়ে গিয়েছে পোষা টিয়া ‘মিঠু’। যাকে বিশ্বাস পরিবার নিজদের ছোট মেয়ের মত ভালবাসতো। সেই মিঠুর খোঁজ পেতে কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোষ্টার দিয়েছিলেন চন্দন বিশ্বাস।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন