অমি গুপ্ত
চিলতে চায়ের দোকান। তাতে যা আয় হয় সেই দিয়ে সংসার চলে। ঘরে তাই নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা। সেই আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মণীন্দ্রনগর উচ্চবিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অমি গুপ্ত সাতটি বিষয়ে লেটার-সহ ৬৪৪ নম্বর পেল। বাংলা ও ইংরেজি ও জীবনবিজ্ঞানে ৯০, ইতিহাস ও ভৌতবিজ্ঞানে ৯২, ভূগোলে ৯৩ এবং অঙ্কে ৯৭ পেয়েছে। বহরমপুরে সতীমার মোড়ের মাথায় চায়ের ছোট একটি দোকান চালান বাবা প্রদীপ গুপ্তের। তিনি জানান, চায়ের দোকান চালিয়ে দুই ছেলের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের যাবতীয় খরচ মেটাতে হিমশিম খান। অমিও মাঝে মাঝে গিয়ে সামলায় চোয়ের দোকান।
অমির কথায়, ‘‘শিক্ষকদের থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। তাঁদের অবদান ভোলার নয়।’’
অমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। তাই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের অনেক আগে থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে জোরকদমে। কিন্তু ছেলের পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে ঘোর চিন্তায় পড়েছেন বাবা প্রদীপ গুপ্ত। চায়ের দোকানে যা আয়, তাতে ছেলের পড়াশোনার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া তাঁর একার পক্ষে সম্ভব নয়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক, কী হয়।’’