Death

এক সপ্তাহে তিন শিশুর মৃত্যু

মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ঘুরে দেখে যে সব খামতি রয়েছে তা মেটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৯
Share:

এই মূহূর্তে ৪১ জন শিশু শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের অন্য এলাকার মতো মুর্শিদাবাদেও জ্বর, সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানায় ভুগছে অনেক শিশু। যার জেরে ভিড় বাড়ছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলিতে। শুধু তাই নয়, গত এক সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দু’জন জ্বর সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। অন্য এক জনের আরও ছোটবেলা থেকে হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। এই মূহূর্তে ৪১ জন শিশু শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তার মধ্যে একজন শিশু সঙ্কটজনক অবস্থায় ভেন্টিলেশনে ভর্তি রয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার বিকেল রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ভিডিয়ো বৈঠক করেন। তাতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। সেখানে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ঘুরে দেখে যে সব খামতি রয়েছে তা মেটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। ওষুধ, অক্সিজেন, ইনহেলারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় শয্যা বাড়ানোর জন্য মেডিক্যাল কলেজে জায়গার খোঁজও শুরু হয়েছে।

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ বড় জেলা হওয়ায় রোগীর চাপ বরাবরই রয়েছে। একটি শিশুকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মতো আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছি।’’ তিনি জানান, বুধবার থেকে হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার জন্য শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ থাকবেন। জরুরি বিভাগেও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পাওয়া যাবে। বহির্বিভাগে শিশু বিভাগের সময়সীমা বুধবার থেকে দু’ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। এতদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা দু’টো পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা থাকত, বুধবার থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত শিশুরোগের বহির্বিভাগ খোলা থাকবে। তাঁর পরামর্শ, ‘‘শিশুদের জ্বর হলেই হাসপাতালে নিয়ে আসুন। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’’ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএনসিইউসহ শিশু ওয়ার্ডে মোট ১২০টি শয্যা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার রিপোর্ট অনুযায়ী তাতে ১৪১ জন শিশু ভর্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন