তৈরি থাকুন, বড়ঞায় অনুব্রত

বিধানসভা ভোটের এখনও ফল প্রকাশিত হয়নি, কিন্তু তার আগেই আগামী পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দিলেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে পর্যালোচনা করতে এসে ওই নির্দেশ দেন অনুব্রত। ওই দিন ওই কেন্দ্রের বড়ঞা পূর্ব বড়ঞা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিনিট পনেরোর একটি সভাও করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০৩:৩৫
Share:

বড়ঞায় অনুব্রত। ছবি: কৌশিক সাহা

বিধানসভা ভোটের এখনও ফল প্রকাশিত হয়নি, কিন্তু তার আগেই আগামী পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দিলেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে পর্যালোচনা করতে এসে ওই নির্দেশ দেন অনুব্রত। ওই দিন ওই কেন্দ্রের বড়ঞা পূর্ব বড়ঞা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিনিট পনেরোর একটি সভাও করেন তিনি।

Advertisement

এ দিন সভা শুরু আগেই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে তিনি জানান, মুর্শিদাবাদ জেলায় এ বার আট থেকে দশটি আসন পেতে চলেছে তৃণমূল। অনুব্রত বলেন, “বড়ঞা ও ভরতপুর কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক আমি। তাই এখানে এসেছি বিধানসভা ভোটের পর্যালোচনা করতে। আমার দায়িত্বে থাকা বড়ঞা ও ভরতপুরে তৃণমূল জয়ী হবে এটুকু আমি নিশ্চিত।”

দলীয় সূত্রে খবর, এ বার ওই কেন্দ্রে দলের তরফ থেকে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার অনেক আগে থেকেই বড়ঞা কেন্দ্রে ওই ব্লকের যুব সভাপতি জীবন সাহার নামে এলাকায় প্রচার শুরু করেছিল দলের একাংশ। কিন্তু তৃণমূল জীবন সাহার পরিবর্তে ষষ্ঠী মালকে প্রার্থী করলে দল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। সেই খবর পৌঁছয় অনুব্রত ও জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। দলের একাংশ ভোটে প্রচার না করায় এক রকম ভোট প্রক্রিয়া থেকে বসেই গিয়েছিল। এ দিন সেই সব নেতাদের নাম না করে অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, “ আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চললেও ভোটে কোনও কাজ করেননি। কিন্তু দলকে ভাল না বাসলে আমিও কাউকে প্রশ্রয় দিই না। এটুকু মনে রাখবেন।” তারপরেই তাঁর নিদান, ‘‘বিধানসভা ভোট মিটে গিয়েছে। এখন শুধু সরকার গড়ার অপেক্ষায়। ফলে সেদিকে তাকিয়ে না থেকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান।”

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের নজরবন্দি থাকা অবস্থাতেই ওই দিন বড়ঞায় এসে একটি প্রাথমিক স্কুলে দলীয় বৈঠক করে। যদিও প্রশাসনিক এক কর্তার কথায় এখনও নির্বাচনি বিধি জারি আছে। এখনই স্কুলের বাড়ি ব্যবহার করে কোনও দলীয় বৈঠক করতে পারেনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই ওই দিন বৈঠক হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement