ছবি: সংগৃহীত
কাছাকাছি এসেও দূরত্ব ঘুচল কই? নেত্রীর সামনেও লুকনো গেল না তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। মঙ্গলবার রানাঘাটে একই রাস্তায় সামান্য দূরত্বের ব্যবধানে মমতার সঙ্গে দেখা করলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া শঙ্কর সিংহ। কিছুক্ষণ আগে মমতার সঙ্গে দেখা করেন পুরপ্রধান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।
রানাঘাটের বাসিন্দারা মনে করেন শঙ্করের সঙ্গে বিরোধের জেরে পার্থসারথি দল ছেড়ে তৃণমূলে পা বাড়িয়েছিলেন। শঙ্কর তৃণমূলে যোগ দিলেও সেই সম্পর্ক যে জোড়া লাগেনি, এই ঘটনা তার প্রমাণ। শঙ্কর কুপার্সের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে নেত্রীর পরিচয় করে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মালদহে বন্যা পরিস্থিতি দেখে কৃষ্ণনগর হয়ে কলকাতায় ফিরছিলেন। তাঁর জন্য দলের নেতা-কর্মীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অপেক্ষা করছিলেন। রানাঘাট থানার সামনে অপেক্ষা করছিলেন পার্থসারথী। গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তিনি রওনা হন। গাড়ি থেকে নামেননি তিনি।
কিছুটা দূরে বেগোপাড়ার মোড়ে সপার্ষদ শঙ্কর অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামেন মমতা। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়ার ভোটে সাফল্যের জন্য তাঁর প্রশংসা করেন। শঙ্করদের সঙ্গে না থেকে পার্থসারথির আলাদা করে দাঁড়ানোর বিষয়টি মমতার নজর না এড়ালেও তিনি প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি। তবে গাড়িতে ওঠার সময় বলে যান, ‘‘সকলকে একসঙ্গে চলতে। মিলেমিশে কাজ করতে হবে।’’
তারএ কিছুক্ষণ আগে কৃষ্ণনগর থেকে রওনা হওয়ার আগে তিনি শান্তিপুরের বর্তমান বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে-র কোন্দল মেটানোর নির্দেশ দেন। তার পরেই ফের রানাঘাটে এসে তাঁকে বিবদমান দুই গোষ্ঠীর নেতাদের আলাদা করে দাঁড়ানো দেখতে হল।
এর পরে ফের তাঁকে হরিণঘাটার জাগুলিতে এসে দাঁড়াতে হয়। সেখানে নেত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল দেবনাথ, কল্যাণী শহর তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।