অরিন্দম ভট্টাচার্য।
বছরখানেক আগে কালনাঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় গোলমালে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ‘বিরোধী’ বিধায়কের বিরুদ্ধে বেশ ‘কড়া’ অভিযোই দায়ের করেছিল পুলিশ। এমনকী পুলিশের লাঠির ঘাও পড়েছিল পিঠে।
সে সময়ে, আইনি ফাঁসে দীর্ঘ দিন নিজের বিধানসভা এলাকায় পা রাখতেই পারেননি সদ্য প্রাক্তন শান্তিপুরের কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। প্রায়ই বিবৃতি দিতেন—তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে’র উস্কানিতে এই কাণ্ড!
বুধবার থেকে, সেই অরিন্দম ভট্টাচার্য আর অজয় দে একই দলের সদস্য। এ বার সমীকরণ তা হলে কী দাঁড়াবে? অজয় শান্তিপুরের পুরপ্রধান। ফলে যে কোনও পুর অনুষ্ঠানে এখন অরিন্দমকে ডাকা দলের নিয়মানুসারে প্রায় বাধ্যতামূলক। এখন দেখার, সেই পরিস্থিতি দুই নেতা কীভাবে সামাল দেন। উঁকি মারছে আরও একটা প্রশ্ন, শান্তিপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে তা হলে দল টিকিট দেবে কাকে?
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে উপনির্বাচন হচ্ছে না। কারণ, প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রস বিধায়কেরা এখনও খাতায় কলমে কংগ্রেস ছাড়েননি। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাও দেননি। সামনেই রাজ্যসভার উপনির্বাচন। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের ইচ্ছা, তখন কংগ্রেস ছেড়ে আসা বিধায়কদের একযোগে পদত্যাগ করিয়ে উপনির্বাচন যাওয়ার।