West Bengal Panchayat Election 2023

জেল হেফাজতে পিস্তল-সহ ধৃত তৃণমূল নেতা, রাজ্যের আইনজীবী শুনানিতে নেই কেন, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ বিচারকের

শনিবার ডোমকলের বিডিও অফিসে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূল এবং বামেদের সংঘর্ষ বাধে। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়েন বাসির মোল্লা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১৫:৩৫
Share:

পিস্তল-সহ বিডিয়ো অফিসের সামনে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তৃণমূল নেতা বাসির মোল্লা। —ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পিস্তল-সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়া তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসির মোল্লার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ১২৫/১/বি অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে। রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বহরমপুর জেলা আদালতের বিচারক তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও ওই সময় আদালত কক্ষে সরকারি আইনজীবী না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। অভিযোগ, তদন্তকারী আধিকারিকদের তরফেও আদালতে কোনও নথি পৌঁছয়নি।

Advertisement

ধৃত তৃণমূলের ওই অঞ্চল সভাপতির কাছ থেকে শুধু অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রই নয়, ৪ রাউন্ড গুলিও মিলেছে। অন্য দিকে শুনানির সময় ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। এমনকি, শুনানির সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও আবেদনও পেশ করা হয়নি বলে আদালত সূত্রে খবর।

শনিবার, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় ডোমকলে। বামেদের অভিযোগ, তারা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বিডিও অফিসের সামনে আটকে দেন তৃণমূলের লোকজন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এর পরেই এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। সকাল ১১টা নাগাদ মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বাম এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা ব্লক অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। কিছু ক্ষণের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ডোমকল বিডিও অফিস চত্বর। উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরও পুলিশবাহিনী। পুলিশ লাঠি চালালে ছত্রভঙ্গ সংঘর্ষকারীরা এ দিক-ও দিক দৌড় দেন। তখনই এক সংঘর্ষকারীকে তাড়া করে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চত্বরে পৌঁছে যায় পুলিশ। তাঁকে তল্লাশি করে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। পরে জানা যায়, তিনি সারাংপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি। নাম বাসির মোল্লা। অন্য দিকে, বাসিরের কুকাজের দায় নিতে চায়নি তৃণমূল। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আইন আইনের পথে চলবে। দল এমন কাজের বিরোধী।

Advertisement

বাসিরের আইনজীবী বলেন, ‘‘রবিবার ছুটির দিন বলে সরকারি নথি আসতে হয়তো কিছুটা দেরি হয়েছে। আমরা আমাদের মত জামিনের আবেদন করেছি। কিন্তু তা খারিজ হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন