বর্তমান নেতাকে মার প্রাক্তনের, তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ

শুক্রবার দুপুরে চাপড়া ব্লক অফিসের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চাপড়া শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও ভাবেই ঘরোয়া কোন্দলে রাশ টানতে পারছে না তৃণমূল। এ বার চাপড়া ব্লক যুব সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল সংগঠনেরই প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে চাপড়া ব্লক অফিসের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। বর্তমান সভাপতি বাবলু ঘোষের অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধর করেছেন প্রাক্তন সভাপতি রাজীব শেখ। এই খবর চাউর হতেই বাবলুর অনুগামীরা ব্লক অফিসের সামনে ভিড় জমান। চলে আসে রাজীবের অনুগামীরাও। উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি, হুমকি পাল্টা হুমকি চলতে থাকে। বিধায়ক রুকবানুর রহমান ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জেবের শেখ সামাল দেন।

রাতেই রাজীবের বিরুদ্ধে চাপড়া থানায় মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন বাবলু। বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “এমন কোনও ঘটনা যদি ব্লক অফিসের ভিতরে ঘটে থাকে, তা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement

চাপড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘ দিনের। করিমপুর উপ-নির্বাচনের মুখেই বিধায়কের অনুগামী, তৎকালীন ব্লক যুব সভাপতি রাজীব শেখকে সরিয়ে বাবলুকে পদে আনে দল। বিধায়ক তা মানতে চাননি।

বাবলুর অভিযোগ, “বার্ধক্য ভাতার ফর্ম নিতে ব্লক অফিসে গিয়েছিলাম। তখনই রাজীব শেখ আমাকে জোর করে কর্মাধ্যক্ষদের ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে একটা চেয়ারে বসিয়ে আমার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলে। বাইরে বেরিয়ে কাউকে জানালে খুন করে দেবে বলে হুমকিও দেয়।” তাঁর দাবি, তিনি রাজীবের কথায় সায় দিয়ে কোনও মতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। যদিও রাজীবের দাবি, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পুরোটাই বানানো গল্প।”

বিডিও-র ঘরে তখন উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক চলছিল। রুকবানুর, জেবের ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কেউ-কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাইরে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর খবর শুনে তাঁরা বেরিয়ে আসেন।

জেবের বলছেন, “এ ভাবে ব্লক অফিসের ভিতরে দলের এক নেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধরের ঘটনা কোনও ভাবেই মানা যায় না। গোটা বিষয়টি আমি নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” আবার রুকবানুর বলেন, “বিষয়টা তেমন কিছুই না। যুব সংগঠনের ব্লক সভাপতির পদ নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেটা নিয়েই দু’জনের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। সেটাকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে সমাজবিরোধীদের এনে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”

দলীয় কোন্দল এ ভাবে সামনে চলে আসায় বিব্রত জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি হাসানুজ্জামান শেখ বলেন, “বিষয়টা আমি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই মতো পদক্ষেপ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন