Lalbag

জংলিকালী পুজো হয় প্রতিকৃতিতে

রঘু ডাকাতের সঙ্গে এই কালী পুজোর সম্পর্ক নিয়ে অনেক গল্পগাথা এই এলাকায় প্রচলিত। রঘু ডাকাত শুধু ডাকাত ছিল না, সে গরিব মানুষকে সাহায্যও করত।

Advertisement

মৃন্ময় সরকার 

লালবাগ শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও মূর্তি নয় লালবাগের নশিপুরের জংলি কালীর পুজোয় কালীর মূর্তি তৈরি করে নয় বরং কালীর প্রতিকৃতি কল্পনা করেই হয় পুজো। যদিও একটা সময় জংলী কালীর মূর্তিতেই পুজো হত।

Advertisement

লালবাগের নশিপুরের জংলি কালীর পুজো ঠিক কত সাল নাগাদ শুরু হয়, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও কিছু জানা যায়না। তবে, জংলীকালির পুজো বেশ প্রাচীন বলেই জানাযায়। কথিত আছে বর্তমানে যেখানে জংলী কালির মন্দির রয়েছে সেখানে ঘন জঙ্গলে ভর্তি ছিল কাছাকাছি কোনও জনবসতি ছিল না। ওই সময় জঙ্গলে বেদী বানিয়ে সেখানে কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে জংলি কালির পুজো শুরু করে রঘু ডাকাত আগে ডাকাতি করতে যেত বলে শোনা যায়। রঘু ডাকাতের সঙ্গে এই কালী পুজোর সম্পর্ক নিয়ে অনেক গল্পগাথা এই এলাকায় প্রচলিত। রঘু ডাকাত শুধু ডাকাত ছিল না, সে গরিব মানুষকে সাহায্যও করত। তাই এলাকার গরিব মানুষ সকলেই তার পক্ষে থাকত। কেউ তার টিকিও ছুঁতে পারত না। সেই রঘুর পুজো করা কালীর প্রতিও ভক্তি ছিল

এলাকার মানুষের।

Advertisement

জংলি কালী মন্দিরের পুরোহিত বাপ্পা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শোনা যায়, একবার ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে রঘু ডাকাত ও তার দলবল মায়ের পুজো শুরু করে বলে যে সে ডাকাতি করতে বেরোবে। কিন্তু মা তাকে ডাকাতি করতে যেতে বারন করেন রঘু ডাকাত ওই সময় জংলি কালীর উপর রেগে গিয়ে মারতে ওঠেন। ওই সময় মা কালী বাচ্চা মেয়ের রুপ নিয়ে পাশেরই একটা কুয়োয় নেমে যান।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি জংলি কালীর বেদিতে বাচ্চার পায়ের ছাপও রয়েছে। তার পর রঘু ডাকাত ওই স্থান ত্যাগ করে চলে যান। পরে জংলি কালীর পুজো শুরু করেন রায়চৌধুরী পরিবার নামে একটি পরিবার। সারাবছর ফুল দিয়ে যা ঢেকে রাখা হয়। বাপ্পা চক্রবর্তী বলেন, "সেই যে মা কুয়োয় নেমে যায় তার পর থেকে আর মূর্তি নয়, কালীর প্রতিকৃতি কল্পনা করেই পুজো হয়। বলি হয়। তবে বলি মানে জীবন নেওয়া নয়। বলি মানে নিজের মনের লোভ, ক্রোধ এসব বলি দেওয়া।’’ এ বার কোভিড বিধি মেনেই পুজো হবে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement